1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : Nayon Ahammad : Nayon Ahammad
  5. [email protected] : News Editir : News Editir
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলে ৪ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: নেতানিয়াহুর দপ্তর উজ্জীবিত ইসি, বইছে ভোটের হাওয়া হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ কবিরহাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: কয়েকজন গুরুতর আহত, একজন গ্রেফতার পারফেক্ট ইলেকট্রনিক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও গোলাম শাহরিয়ার কবীর পেলেন “সন্মাননা স্মারক”! বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল মিরর ম্যাগাজিন আয়োজিত ঈদুল আযহা মেলা নতুন গল্পে অপ্সরা বিশেষ সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক ও উপস্থাপক হাসনাত জোবায়ের ‘লাবণ্য অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ সেরা ফ্যাশন ফটোগ্রাফার সম্মাননা পেলেন আরিয়ান আহমেদ

জাবি ছাত্রলীগ নেতার ৩ বান্ডিল টাকা ‘চাঁদা নেওয়ার’ ভিডিও ফাঁস

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩

খান মেহেদী :-চাঁদা আদায়ে নতুন চুক্তি করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে চারদিন ধরে ২৪টি লেগুনা আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। এরপর লেগুনা মালিকদের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা হলে লেগুনাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে লেগুনা মালিকের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের তিন বান্ডিল টাকা বিনিময়ের ভিডিও ফাঁস হয়েছে।

সাজ্জাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের (২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী। তিনি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত।

গুঞ্জন উঠেছে, লেগুনা আটকে রাখার ঘটনা সমাধান করতেই সাজ্জাদ মিন্টু গাজী নামের ওই লেগুনা মালিকের কাছ থেকে টাকাগুলো চাঁদা হিসেবে নিয়েছেন। তবে সাজ্জাদের দাবি, টাকা নেওয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেনের। ভিডিওটি গতবছরের নভেম্বর মাসের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সাভার থেকে প্রায় ২০০টি লেগুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেট দিয়ে ইউটার্ন নিয়ে আশুলিয়া রুটে যায়। এজন্য লেগুনাগুলোকে দিনপ্রতি ২৫ টাকা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে হতো। তবে গত দুইমাস ধরে চাঁদা দেওয়া বন্ধ ছিল। তাই লেগুনা থেকে চাঁদা আদায়ের নতুন চুক্তি করতে চান ছাত্রলীগের নেতারা। তবে দিনপ্রতি চাঁদা ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করতে ২৫ জুলাই ২৪টি লেগুনা আটকে রাখা হয়। যদিও ছাত্রলীগ নেতারা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা লেগুনা আটকাতে শুরু করেন। চারদিন আটকে রাখার পর মালিকপক্ষের সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে লেগুনাগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

সময় নিউজের হাতে আসা ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানী হলের দোতলায় মসজিদের সামনে লুঙ্গি পরা অবস্থায় আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ। সেখানে টাকা নিয়ে আসেন লেগুনা মালিক নেতা মিন্টু গাজী ও মাসুদুর রহমান ফজা। সেখানে আরও এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এসময় মিন্টু গাজী সাজ্জাদের হাতে তিন বান্ডিল টাকা তুলে দেন। প্রথমে সাজ্জাদ লুঙ্গির কোমরের ভাঁজে টাকাগুলো রাখার চেষ্টা করেন। পরে সিঁড়ির কাছে থাকা একটি সাদা ব্যাগ নিয়ে তাতে টাকা মুড়িয়ে চলে যান।

 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, সাজ্জাদের হাতে মিন্টু গাজী ও ফজা মোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। লেগুনা থেকে প্রাপ্ত চাঁদার টাকা ভাগাভাগিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পক্ষে দেনদরবার করেন সহ-সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ এবং সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য এসএম দিদারুল আলম দ্বীপ। চাঁদার একটি অংশ (২০ হাজার টাকা) পান মীর মশাররফ হোসেন হলে অবস্থানকারী ছাত্রলীগ নেতারা।

চাঁদা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লেগুনার মালিক ফজা বলেন, ‘লেগুনা চালানো বাদ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে টাকা দিতে হয়, পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এছাড়া আরও মানুষকে টাকা দিতে হয়। এভাবে লেগুনা চালানো যায় না।’

তবে সাজ্জাদকে কত টাকা দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মিন্টু গাজীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে ভিডিওটি গতবছরের দাবি করে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মিন্টু গাজীর সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। সে হিসেবে সে আমাকে টাকা দিতে এসেছিল। তার একটি চুক্তিপত্রও আমার কাছে আছে। যে ভিডিওটার কথা বলা হচ্ছে, সেটি গতবছরের নভেম্বর মাসের। গত সপ্তাহে লেগুনা আটকের ঘটনার সঙ্গে ভিডিওটিকে জড়িয়ে টাকা আদায়ের যে অভিযোগ সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এসএম দিদারুল আলম দ্বীপ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা মিথ্যা। আমি জড়িত থাকলে তো আমারও ভিডিও ফাঁস হতো। যেহেতু সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তাই আমাকে বিতর্কিত করতেই হয়তো মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাজ্জাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। তারা পাওনা টাকা দিতে এসেছিলেন। এছাড়া ভিডিওটি গতবছরের নভেম্বর মাসের বলে শুনেছি। তারপরও আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নেবো। চাঁদাবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews