1. adnan210.net@gmail.com : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  2. themesbazar@gmail.com : theam bazar : theam bazar
  3. khanmdmahadi29@gmail.com : Khan Md mahadi : Khan Md mahadi
  4. somoyexpressnews@gmail.com : নাঈম সজল : নাঈম সজল
  5. Kanonbd1@gmail.com : নিউজ ডেষ্ক : সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেস্ক
  6. raytahost@gmail.com : theam 2022 : theam 2022
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাকেরগঞ্জ বাসীর নির্ভরতার স্থান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ ঝন্টু বরিশাল নগরীর শীতলা খোলা এলাকায় (তুষারের)সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থামছে না ?      প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সেনবাগে সেচ্ছাসেবক লীগের মটর শোডাউন গৃহিণী থেকে নগরমাতা আওয়ামী লীগ রুখতে পারলেন না জাহাঙ্গীরকে- গাজীপুরের ‘নগরমাতা’ জায়েদা খাতুন মায়ের বিজয়ের পর যা বললেন জাহাঙ্গীর আলম গাজিপুর সিটি নির্বাচন-৪৫০ কেন্দ্রের ফলাফলে জায়েদা খাতুন ২০ হাজার ভোটে এগিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচন-৪২৬ কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে টেবিল ঘড়ি গাজিপুরে নৌকার ভরাডূবির শঙ্কা তরুণ প্রজন্মের ফটোগ্রাফার নয়ন আহম্মেদ এর জন্মদিন আজ

বাকেরগঞ্জ উপজেলায় লাইসেন্সবিহীন জমজমাট ফার্মেসী ব্যবসা সন্ধান মিলেছে ভুয়া ডাঃ অাবু সাঈদ প্রতারক এর।

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারের অলিগলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ফার্মেসি বা ঔষধের দোকান। ঔষধ প্রশাসনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অনেকেই ফার্মেসি দিয়ে বসেছেন ঔষধ বিক্রির ব্যবসায়।
এসব ফার্মেসি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক, নিষিদ্ধ ভারতীয় সেক্সুয়াল ও নিম্নমানের নানা ধরনের ঔষধ বিক্রি করছে অবাধে। এ ছাড়া নেই কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট। ফলে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা।

এতে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেক রোগী ও তাদের পরিবার-পরিজন। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের বাজারে গড়ে উঠেছে ফার্মাসিস্ট, প্রশিক্ষণ ছাড়া ও ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন শত শত ফার্মেসী। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।

বিশেষ করে, উপজেলা শহরের কাছাকাছি বাজারগুলোতে,কালিগঞ্জ বাজার, নিউমার্কেট, ভবানিপুর বাজার, বাংলা বাজার, মহেশপুর বাজার, নিয়ামতি বাজার,বোতরা বাজার,শ্যামপুর বাজার,বোয়ালিয়া বাজার, লক্ষীপাশা বাজার,দাদুর হাট-বাজার, উল্লেখিত বাজারে সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত হয়েছে।
প্রথম সকাল অনুসন্ধানে দেখা গেছে এক অভিনব প্রতারক ভুয়া ডাক্তার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর সুলিশ বাজারের হাওলাদার ফার্মেসীর পরিচালক মোঃ অাবু সাঈদ। যিনি নিজেই ড্রাগ লাইসেন্স এর লাইসেন্স কপি বানিয়ে নিয়েছেন। অথচ ফার্মাসিস্ট প্রশিক্ষণ ছাড়া ও ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন এমন ব্যাক্তির দোকানে রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়াই ঐ এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, যুবক, এমনকি অন্তঃসত্তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার এই প্রতারনার ফাদে পরে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।

এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন ওইসব ফার্মেসী মালিকগুলো। কারণ ঐ এলাকার সাধারণ মানুষ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের কাছে আসেন না। তারা তাদের পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর বাজারের ফার্মেসীর শরণাপন্ন হয়ে রোগের বর্ণনা দিয়ে ওষুধ নেন। এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে ফার্মেসী মালিক মোঃ অাবু সাঈদ। ফার্মেসী গুলো চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই উচ্চমাত্রায় এজিথ্রোমাইসিন অ্যান্টিবায়োটিক, ঘুমের ট্যাবলেট ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, নিষিদ্ধ, ভারতীয়, নকল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও নিম্নমানের নানা ধরনের ঔষধ অবাধে বিক্রি করে আসছেন ভুয়া ডাঃ মোঃ অাবু সাঈদ।

এছাড়াও উপজেলার কলসকাঠি ও নলুয়া বাজার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে মুদি দোকানে অবাদে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ঔষধ যার ফলে একদিকে যেমন ঔষধ ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪০ অনুসারে কারও ঔষধের দোকান বা ফার্মেসি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে প্রথমেই কমপক্ষে ছয় মাসের ফার্মাসিস্ট কোর্স করে সনদ সংগ্রহ করতে হবে। পরে সংশ্নিষ্ট ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে ফার্মাসিস্ট সনদ জমা দিয়ে ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৪ নম্বরের ১৩ নম্বর ধারায় ‘ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ’ শিরোনামে উল্লেখ্য আছে, কোনো খুচরা বিক্রেতা বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিলের কোনো রেজিস্ট্রারের রেজিস্ট্রিভুক্ত ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধান ছাড়া কোনো ঔষধ বিক্রি করতে পারবে না। কিন্তু এ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ঔষধ বিক্রি হচ্ছে এসব ফার্মেসীতে। কয়েকজন সচেতন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন ফার্মেসীতে আর বিশেষজ্ঞ লোকের দরকার হয় না।
ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা বলে দেন কোন ঔষধ কী কাজে লাগে- সেই অনুযায়ী ঔষধ বিক্রি হয়। এ ছাড়া অনেক ঔষধের দোকানে নিম্নমানের ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভরা ঔষধ বিক্রি করে দেন। ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ বিক্রির ক্ষেত্রে ভালোমানের ঔষধের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি কমিশন নেওয়া হচ্ছে। এতে বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ বিক্রিতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন ঔষধ ব্যবসায়ীরা।
সাধারণ মানুষও কোন ঔষধটি আসল ও কোনটি ভেজাল তা চিহ্নিত করতে অপারগ। এর ফলে এ ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধের বাণিজ্য দিন দিন জমজমাট হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। উপজেলার অবৈধ ফার্মেসিগুলো সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের ভেজাল ঔষধ বেশি মূল্যে বিক্রি করছে, যা রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে উল্টো নানা উপসর্গের সৃষ্টি করছে।
এ ছাড়া অসচেতন রোগীদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে উল্লিখিত ঔষধের একই গ্রুপের নিম্নমানের ঔষধ সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সভাপতি ডা. মিজান মল্লিক ও গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডঃ মিজানুর রহমান এবিষয়ে জানান, ড্রাগ লাইন্সেন ও ফার্মাস্টিস সনদ ছাড়া কোন ঔষধের দোকান বা ফার্মেসী ব্যবসা করা যাবে না। লাইন্সেন বিহীন সকল ফার্মেসীগুলোতে দ্রুত আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2022 somoyexpress.news
Customized By BlogTheme