1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

মুরাদনগরে জমি বিক্রির নামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কাশেম প্রতারক চক্র!

  • আপডেট সময় বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভূমি নিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতি করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় ভূমি নিয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি এক জমি কয়েকজনের কাছে বায়না দেওয়া ও বিক্রি করাসহ অপরাধের ধরনগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

কোনো ব্যক্তির ক্ষতি বা অনিষ্ট করার জন্য বা কোনো ব্যক্তিকে কোনো সম্পত্তি বিক্রি করার চুক্তি সম্পাদন করে
তা অন্য কোথাও বিক্রি করা ও বায়না দেওয়া ইচ্ছায় কিংবা প্রতারণা করলে তার সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে ।

সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা মুরাদ নগরের ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ খাইরুল ইসলাম মিনহাজ তার এলাকার মোঃ কাশেম মিয়া (৪৫) এর নিকট হতে গত ২০ জুলাই ২০২৩ইং
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলাধীন ধামঘর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত বর্তমান ২২৪ দাগভুক্ত ২৭ শতক সম্পত্তি স্থানীয় গৌন্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষী রেখে নগদ ১০ লক্ষ টাকার মৌখিক চুক্তি করে কাশেম মিয়া প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে ঢাকার ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম ।

বায়না শর্তের ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেও চুক্তি গ্রহীতাকে নির্ধারিত সময় জমির রেজিস্ট্রি না দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।এমনকি মৌখিক বায়না গ্রহীতার কাছ থেকে নেয়া ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে প্রতারক চক্রটি একের পর এক চক্রান্তে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীনসহ প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে আটকে ব্যবসায়িক খাইরুল ইসলামের পরিবারটি চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

বিবাদী কাশেম মিয়া খাইরুল ইসলাম মিনহাজ এর নিকট হতে তাহার মালিকানাধীন জিলা-কুমিল্লা, থানা-মুরাদনগর, মৌজা-মুগসাইর দাগ নং-২২৪ আন্দর ২৭ শতক সম্পত্তি, যাহার প্রতি শতাংশ ৮৫,০০০/-টাকা করিয়া সর্বমোট ২২,৯৫,০০০/-টাকার সম্পত্তি তাহার নিকট বিক্রয় করিবে মর্মে তাঁহার নিকট হইতে নগদ ১০,০০,০০০/-টাকা গ্রহণ করে ।
টাকা গ্রহনের সময়ে এলাকার বেশ কয়েকজন গৌন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন যারা হলেন,কাশেম মিয়ার আপন চাচাতো ভাই মোঃ শাহজাহান(৪৫), মোঃ বিল্লাল হোসেন(৩২)থানা-মুরাদনগর, জেলা-কুমিল্লা সহ আরো অনেকের সামনে মৌখিক চুক্তিনামার মাধ্যমে গ্রহণ করেকথা ছিল ১৫ দিনের মধ্যে তার নিকট হইতে বাকী টাকা গ্রহণ করিয়া তাকে উক্ত সম্পত্তি সাব-কবলা মূলে রেজিস্ট্রি করিয়া দিবে। টাকা গ্রহণের পর হইতে বিবাদী কাশেম মিয়া আমাকে উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করিয়া না দিয়া আজ কাল করিয়া কাল ক্ষেপন করিতে থাকে।

স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে জানতে পারি বর্ণিত বিবাদী আমার কাছে উক্ত সম্পিত্তি বিক্রয় করিবে না, অন্যত্রে আরো অধিক মূল্যে উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া দিবে।

গত ৬ আগস্ট ২০২৩ ইং বেলা অনুমান ১২.ঘটিকার সময় উক্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রির বিষয়ে বিবাদী’কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কাশেম মিয়া ক্রেতা খায়রুল ইসলাম মিনহাজ এর উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। একপর্যায়ে বর্ণিত বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং বিবাদী আমার গলা চাপিয়া শ্বাসরোধের করিয়া হত্যার চেস্টা করেআমার ডাক চিৎকারে আশপাশ হইতে লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদী আমাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করিয়া মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য লোকজনদের অবহিত করিয়া থানায় আসিয়া বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন খাইরুল আলম মিনহাজ ।

কাশেম মিয়া পেশায় একজন সিএনজি চালক মুরাদনগর থানাধীন এলাকায় চিন্নিত প্রতারক নামে পরিচিত কাশেম মিয়া।অভিযোগ আছে,কাশেম মিয়ার একটি প্রতারক চক্র আছে তারা বেশ কয়েকজন মিলে এমন প্রতারনার জাল বুনে স্থানীয় সহজ সরল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করাই এ কাশেম মিয়ার কাজ।

কাশেম মিয়ার এই জমি নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায়
মারা-মারির ঘটনা ঘটেছে ।কয়েক দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে এবং আগামীতে খুনের মতো ঘটনা ও ঘটতে পারে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।এই মুহূর্তে প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলেও
আশঙ্কা করছে অনেকে ।উক্ত জায়গা টি নিয়ে কুমিল্লা আদালতে একটা মামলা দায়ের করেছেন যাহার মামলা নং সি আর ৫০৭/২০২৩ ধারা-৪০৬/৪২০/৩২৩ দন্ডবিধি । মামলাটি বর্তমানে মুরাদনগর থানায় তদন্তাধীন আছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম মিনহাজ বলেন,কাশেম মিয়া একজন বাটপার ও প্রতারক
জমি বিক্রির নামে প্রতারনা করাই তার মূলপেশা।আমার মতো বেশ কয়েকজনের কাছ জমি বিক্রি করবে বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।একই জায়গা আমার মতো কতজনের কাছে বিক্রি করছে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে ভালো জানবেন এরপর জমি রেজিস্ট্রি বা টাকা ফেরত চাইলে প্রতারক কাশেম মিয়া আমাকে জিম্মি করে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় ।তার এই প্রতারক চক্রের সাথে আরো বেশ কয়েকজন জড়িত আছে বলে ও জানান ভুক্তভোগি খাইরুল ইসলাম ।

অভিযোগের বিষয়ে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,আমাদের কাছে ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম একটা অভিযোগ করেছেন আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews