1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কায়েস আরজু-শিরিন শিলা “গবেট” আজ থেকে সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ফেসে যাচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, হারাতে পারেন চাকরি সালমান রাজের ‘বধুরে’ গানে হান্নান শাহ-এস কে মাহি সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সদস্যদের সাথে ঢাকার বার্তার চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী সেঁজুতি খন্দকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী জাকির হোসেন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ অনুমতি ছাড়াই বিদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘তুফান’ ফ্রান্সে সম্মাননা পেলেন তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা বিএনপি-আ.লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ

নির্বাচনে পুলিশ চায় ৫০০ কোটি

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩

সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেক্স :- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব সংশোধন করে পুলিশ এবার ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছে। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই করছে। কত বরাদ্দ দেওয়া হবে সে বিষয়ে চলতি মাসেই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রায় ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় নতুন করে আবার প্রস্তাব দেওয়া হলো।

পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে সরকারবিরোধী দলগুলোর আন্দোলন আরও কঠোর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে ক্ষেত্রে নাশকতা ও সহিংতাও বাড়তে পারে বলে তারা মনে করছে।

ইতিমধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন, পুলিশের ওপর হামলাসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। তবে পুলিশের যানবাহন ও দাঙ্গা দমনের সরঞ্জাম চাহিদার তুলনায় অনেক কম। পরিস্থিতি ও পুলিশের সরঞ্জাম ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গত বছরই ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর। অর্থ বরাদ্দের জন্য চিঠি চালাচালি হওয়ার পরও বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় আবারও চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরের পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কিনতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত জাতীয় নির্বাচনের আগেও পুলিশের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। ওই সময় বরাদ্দ ছিল ২৭২ কোটি টাকা।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আসছে ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বরাদ্দ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, মাস তিনেক আগে নির্বাচনে খরচের জন্য একটি বাজেট চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন ও নির্বাচন-পূর্ববর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য দাঙ্গা দমনসামগ্রী ও অপারেশনালসামগ্রী সংযুক্ত না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া কঠিন হবে। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও বিঘিœত হবে। সামনের দিনগুলোতে আন্দোলন হবে। সরকারবিরোধীরা বড় ধরনের নাশকতাও চালাতে পারে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, দিন যতই যাচ্ছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আর এ কারণে যানবাহন ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনিতেই পুলিশের যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম। গুলি, রাবার বুলেট, টিয়ার সেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আরও লাগবে। এর আগে ১ হাজার ২২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। বরাদ্দের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। এ অবস্থায় নতুন করে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

আগের বরাদ্দসংক্রান্ত চিঠিতে ১৫৮ কোটি ৭ লাখ টাকার অস্ত্র, গুলি, টিয়ার সেলসহ দাঙ্গা দমনের অন্যান্য সামগ্রী, ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার নিরাপত্তাসামগ্রী, ২২৬ কোটি টাকার মোটরযান, ৫৪০ কোটি টাকার অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, ১২ কোটি টাকার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সরঞ্জাম, ৪৪ লাখ টাকার কম্পিউটারসহ অন্যন্যা সরঞ্জাম, ৭ কোটি টাকার কম্পিউটার সফটওয়্যার, ২০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার জ¦ালানি তেল ও লুব্রিকেন্টসহ ১ হাজার ২২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ টাকার সরঞ্জাম কেনার কথা বলা হয়েছে।

নতুন করে যে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে পুুলিশের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আশা করি সরকার ইতিবাচক হিসেবে দেখবে বিষয়টি। আমরাও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়য়ে যোগাযোগ রাখছি। তারাও বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে।’

পুলিশ সূত্র জানায়, যানবাহনসংকটে ভুগছে থানা, হাইওয়ে, ট্যুরিস্টসহ পুলিশের সব কটি ইউনিট। পুলিশের হাতে যেসব যানবাহন রয়েছে, সেগুলো পুরনো। অনেক গাড়িই ফিটনেসবিহীন। এমনকি গাড়ি নষ্ট হলে মেরামতও করা যাচ্ছে না। ফলে রাজধানীসহ পুলিশকে ফরমায়েশ দেওয়া বেসরকারি (রিকুইজিশন) যানবাহনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আর সে জন্য থানা ও ট্রাফিক পুলিশ প্রায় সময় কোনো না কোনো গাড়ি রিকুইজিশন করতে বাধ্য হচ্ছে। আবার অনেক থানা পুলিশ ভাড়া করা গাড়ি ব্যবহার করছে। অনেককে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েই দায়িত্ব পালন এবং অভিযানে অংশ নিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে পুলিশ বাহিনীর গাড়ির সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। পিকআপ, প্রিজন ভ্যান, জিপ, পাজেরো থেকে শুরু করে সব ধরনের গাড়ি চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। আবার পুলিশ যে গাড়িগুলো ব্যবহার করছে তার বড় একটি অংশ ভিআইপি প্রটোকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে। যানবাহনের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জামও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এসব দিক বিবেচনা করেই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান জরুরি। তা ছাড়া মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও বিঘিœত হবে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার, গোয়েন্দা, অপারেশনাল ও নিরাপত্তাসামগ্রী, জ¦ালানি, কেনার জন্য অর্থ প্রয়োজন।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সরকারবিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। বিএনপি আন্দোলনের নামে জ¦ালাও-পোড়াও করছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করছে। যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। আর এসব মোকাবিলা করতে পুলিশকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। যানবাহনসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কেনার পরিকল্পনা আছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে কেনাকাটা সম্ভব হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত তিন অর্থবছরে পুলিশের জন্য ১ হাজার ১৭টি যানবাহন কেনা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেলই আছে ৬৬৫টি। বর্তমানে ১১ হাজার ৯২৩টি যানবাহন আছে পুলিশের। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৬ হাজার ৪৪৫। বাকি ৫ হাজার ৪৭৮টি অন্যান্য যানবাহন। এ দিয়ে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ। জনবলের তুলনায় এখনো ৪ হাজার ৫২৯টি যানবাহনের ঘাটতি আছে। দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি জানমাল, সরকারি সম্পত্তি, ভিভিআইপি, ডিআইপি ডিউটি পালন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইভেন্ট, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই), বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। নিরাপত্তাসংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত করার কোনো সুযোগও নেই। কিন্তু যানবাহনের অভাবে পুলিশের দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পুরনো যানবাহন বিক্রি করে নতুন যানবাহন কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে জননিরাপত্তা খাতের জন্য সরকার ২৪ হাজার ৫৯৪ কোটি বরাদ্দ দিয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ৪২১ কোটি টাকা বেশি। আর ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজেট ছিল ২১ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। জননিরাপত্তা খাতে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, যার আওতায় রয়েছে পুলিশ, বর্ডার গার্ড, কোস্টগার্ড এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। রয়েছে সুরক্ষা সেবা বিভাগও।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, পুলিশের বাড়তি অর্থ বরাদ্দ চাওয়া একদম যৌক্তিক। পুলিশের যানবাহনসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি কেনা জরুরি। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও বড় ধরনের সহিংসতা হওয়ার আশঙ্কা আছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে পুলিশের প্রস্তাবগুলো পাস করার চেষ্টা চলছে। শিগগির বিষয়টি সুরাহা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews