জাহিদুল ইসলাম:- বাকেরগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার স্বামীকে হয়রানির হাত থেকে বাঁচাতে কথিত গৃহবধূ সালমা বেগমের সংবাদ সম্মেন নাটকে এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে নিয়ামতি ইউনিয়নের কাফিলা গ্রামের মৃত্যু আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল জলিল খান একটা ভন্ড ও চিহৃত প্রতারক, বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিয়ে সুবিধা নেওয়াই তার আসল পেশা, সংবাদ সন্মেলনে উল্লেখিত মিরপুর ১৩ এ এই নামে বি আর টি এ পরিচালক হিসাবে কেউ কর্মরত নেই, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আসল ঘটনা হলো, গত ২০শে এপ্রিল তারিখ বিকাল আনুমানিক চার টায় থেকে ৫ টা পর্যন্ত মাওলানা জসিম উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ আবু তালহা পীর শাহ সালে জামে মসজিদ নামাজ পড়তে যায় ওই অবস্থায় মসজিদের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় মতবিরোধকে কেন্দ্র করে তার উপর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করে রক্তাক্ত জখম করেন। ইতিপূর্ব এই মসজিদের যায়গা নিয়ে পরিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক দখল করার জন্য বিভিন্ন প্রকার কৌশল অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়েছে। তারই জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে জসিম মাওলানার ছেলের উপর এক পর্যায়ে রড হকিস্টিক, দেশি অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। টেরপেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ মেডিকেল ভর্তি করেন। উদ্ধার কালে তারা হুমকি প্রদান করেন এই জায়গার দখল ছেড়ে না দিলে মসজিদ অন্যত্র সরাই না নিলে তাদের খুন হত্যাসহ সকল কার্যক্রম তারা করবে, একইসাথে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাও দাবি করেন বলে জানান। এক পর্যায়ে জসিম মাওলানার ছেলে তালহাকে বাকেরগঞ্জ মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয় বরিশাল কোর্ট একটি মামলা রজু করেন যার মামলার নম্বর (২৮৫/ ২৩) বাদী মাওলানা জসিম উদ্দিনের মামলাটি ওসি ডিবি কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি জানতে পেয়ে মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ওইদিন থেকেই তারা তৎপর ছিল সর্বশেষ কোন উপায় আন্ত না পেয়ে তার স্ত্রী কে দিয়ে মিথ্যা একটি মামলা দাঁড় করিয়ে কোর্টে অভিযোগ করেন। সে মামলায় ১নং আাসামী করা হয়েছে রায়হান উদ্দিনকে, প্রকৃতপক্ষে রায়হান উদ্দিন সেদিন এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না। ঐদিন তিনি ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চ দুপুরে যোহরের নামাজের পর থেকে আসরের নামাজের আগ পর্যন্ত অসহায় পথ শিশুদের জন্য কিছু ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। পরে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সাথে উপস্থিত থাকে যার ভিডিও ফুটেজ সকল মিডিয়া টিভি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আসরের নামাজের পর থেকে ইফতারি পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সামনে এবং রমনা ভবনের নিচে কিছু দলীয় এবং ব্যক্তিগত কিছু কাজে সময়ে দেয়। যার ফোন লোকেশন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে লোকেশন ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ এরইমধ্যে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।তাতে ২৩ বঙ্গবন্ধু আশেপাশে পাঁচটা থেকে ইফতারির আগ পর্যন্ত এবং মহানগর নাট্য মঞ্চ জোহরের নামাজের পর থেকে আছর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে উপস্থিত থাকার সত্যতার প্রমান পাওয়া যাবে। দুই নাম্বারে মাওলানা জসিম উদ্দিন তিন নাম্বারে মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চতুর্থ নাম্বার মাওলানা জসিম উদ্দিন এর ছেলে ইনজুরি কৃত যার উপরে আক্রমণ করে সৈয়দ আবু তালহা তাকে চতুর্থ নাম্বার আসামি দিয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যা আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রতারক চক্র সক্রিয় থেকে একটা মেয়ে মানুষকে ধার করিয়ে মিথ্যা গৃহবধু সাজিয়ে স্বামীকে হয়রানীর হাত থেকে বাঁচাতে সংবাদ সন্মেলনের নাটক করে। অথচ মহিলাকে আসামিরা কেহ দেখেনি চিনিনা। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সেখানে তার স্বামীকে মিরপুর ১৩ সার্কেলের পরিচালক দাবি করছেন। প্রকৃতপক্ষে তার স্বামী কোথাও চাকরি করে না এই ভুয়া পরিচয় দিয়া সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, এ বিষয় বিআরটিএ মিরপুর ১৩ সার্কেল পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা হলে এই নামে কোন পরিচালক নাই নাই বলে আশ্বস্ত করেন এবং এমন বনোয়াট পরিচয় কেউ দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন।তিনি আরো বলেছেন এই জলিল ইতি পূর্বেও বিআরটিএতে ভুয়া ফিটনেস ড্রাইভিং লাইসেন্স ভূয়া কাগজপত্র তৈরির মূল হোতা নামে পরিচিত। ভুয়া কাজ করতে গিয়ে জালজালিয়াতির প্রমানিত হওয়ায় ওকে প্রথমে এক বছর সাজা দেয় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে, তারপরও দালাল চক্র ধরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সংবাদে দ্বিতীয়বার তার বাসা থেকে মোবাইল কম্পিউটার ল্যাপটপ থেকে বিএটি এর সকল সরঞ্জামাদি সকল অভিযাতের সিল উদ্ধার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম, ডিবি উত্তর তথ্য প্রদান করেছেন। একই সাথে ভবিষৎতে যাতে এ ধরনের প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে ও জানান।