দৈনিক আজকালের কণ্ঠ পত্রিকায় এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ভেরি বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন স্থানীয় পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন ডাকুয়া। গত দুই মাস ধরে রাক্ষুসী নদীর ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশে ভেরি বাঁধ নির্মান কাজ কয়েকদিন পূর্বে সম্পন্ন করা হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ভেরি বাঁধের নির্মান কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া।
সরেজমিনে ভূক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তুলাতলী নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে বাকেরগঞ্জ উপজেলা শহর ও পৌর এলাকা। প্রতিবছর রাক্ষুসী নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডের অসংখ্য বাসিন্দারা তাদের মাথাগোঁজার ঠাঁই ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরেছেন। অতিসম্প্রতি পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া তুলাতলী নদীর অব্যাহত ভাঙনের কবলে বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের সময় তুলাতলী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে উপজেলা শহর ও পৌর এলাকার চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পরেন। এছাড়াও উপজেলা চত্বর সাহেবগঞ্জ থেকে পৌর এলাকার রুহিতারপাড় ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের ভেরি বাঁধের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তুলাতলী নদীর অব্যাহত ভাঙন নিয়ে গত বছরের ১১ এপ্রিল দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় “তুলাতলী নদীর ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে পৌর এলাকার মানচিত্র” শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি পৌর মেয়রসহ উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরবর্তীতে সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই ভেড়ি বাঁধ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) প্রকল্পের মাধ্যমে পৌর মেয়রের তত্ত্বাবধায়নে সাহেবগঞ্জ থেকে রুহিতারপাড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার নতুন ভেরি বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ওই ভেরি বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, প্রতিবছর পৌরসভার অর্থায়নে ভেরি বাঁধ সংস্কার করা হলেও বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাঁধের বিভিন্নস্থান ভেঙে যায়। এতে করে পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা প্রতিবছর দীর্ঘসময় পানিবন্দি হয়ে পরেন। এবার তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য টেকসই ভেরি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোকলেসুর রহমান বলেন, একটি মাত্র ভেরি বাঁধের কারণে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের প্রতিবছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এবছর পৌর মেয়রের নির্দেশনায় টেকসই ভেরি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণস্থানে পাইলিং দেওয়া হয়েছে। নদীর পানির চাঁপে যেন নতুন করে নির্মিত ভেরি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য নদীর অংশে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।