বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন আধুনিক পৌরসভা গড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও বারবার নির্বাচিত পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া।
গত ২০২২ সালের (২১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় পৌর অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিান চলাকালে পৌর এলাকার এক নাগরিক জন্ম নিবন্ধনে মেয়রের স্বাক্ষর নিতে এসে অডিটোরিয়ামের জালনা দিয়ে তাকিয়ে দেখেন মেয়র স্টাইজে বসা। জন্ম নিবন্ধনের স্বাক্ষর নিতে আসা মহিলা স্বাক্ষর না নিয়ে চলে যেতে চাইলে বিষয়টি মেয়রের নজরে আসতে সভা কক্ষের স্টেজ থেকে নেমে এসে দেয়ালের উপর জন্ম নিবন্ধন কাগজটি রেখে স্বাক্ষর প্রদান করেন। একজন নীড় অহংকারী মেয়র লোকমানের নাগরিক সুবিধা পেয়ে পৌরবাসী ধন্য। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড এখন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়। পৌর শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে জলাবদ্ধতা হবে না। আর রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। তবে বজ্র ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এখন পৌর এলাকার ময়লা-আবর্জনা নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হচ্ছে।
পৌর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে বাকেরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লোকমান হোসেন ডাকুয়া বলেন, বাকেরগঞ্জ পৌরসভা একটি অবহেলিত পৌরসভা ছিল। আমি প্রথমবার দায়িত্ব নেওয়ার পর পৌরসভাকে খ গ্রেডে উন্নীত করেছি। পৌরসভাকে খ শ্রেণীতে উন্নীত করতে প্রতিবছর ৬০ লাখ টাকা আয় দেখাতে হয়েছে। আর প্রথম শ্রণীতে উন্নীত করতে পর পর তিন বছর কোটি টাকার উপরে আয় দেখাতে হয়েছে। আমরা তো কতো কিছু বলি তিন তলা রাস্তা দেবো পাঁচ তলা বাড়ি দেবো কিন্তু আসলে এটা ঠিক না, নাগরিক সুবিধা বলতে যেটা দরকার সেটাই দিতে আমি চেষ্টা করি। শুধু প্রতিশ্রুতিই নয় কাজে বিশ্বাসী আমি। স্কুল লাইফ থেকেই আমি রাজনীতি করি। সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকেই তাদের সেবা করার চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, আমরা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের চৌমাথায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর সুপার মার্কেটের নির্মাণ করেছি। বাস স্ট্যানে পৌর কাঁচা বাজার করেছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, ইতোমধ্যে পানির বিল, ট্যাক্সসহ প্রায় সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়। এখন এগুলোর পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়। আগে আমাদের লোক গিয়ে টাকা নিয়ে আসতো। আর এখন বিল দিয়ে আসে গ্রাহকরা গিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে আসেন।
মেয়র আরো বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পার্ক নির্মাণের জন্য জায়গা খুঁজছি। ছয় একর জায়গা দখল করে বাড়ি, বাজার মানুষ থাকছেন। আমি বলেছিলাম দুই/তিন একর জায়গা ছেড়ে দিতে। কিন্তু কোন খবর নেই। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করেছে। ভালোভাবে দোকান-পাট জমজমাট করতে হলেও ওখানে ভালো কিছু করতে হবে। সেখানে একটি শিশুপার্ক করলে মানুষের যোগাযোগ বাড়বে, লোকজনের আনাগোনাও বাড়বে।
জানা যায়, বাকেরগঞ্জের পৌর সভার ১ নং ওয়ার্ড রুনশী এলাকার মৃত ফজলুল করীম ডাকুয়ার সাত ছেলে ও ছয় মেয়ে সন্তানের মধ্যে (ছেলেদের মধ্যে) তৃতীয় সন্তান হলেন লোকমান হোসেন ডাকুয়ার। ১৯৬৮ সালের ২৮ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। স্কুল জীবন (১৯৮২ সাল) থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন লোকমান হোসেন ডাকুয়া। ১৯৮৬ সালে বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৭ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৯ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯০ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন।
১৯৯২ সালে বাকেরগঞ্জ কলেজের নির্বাচিত ভিপি, ১৯৯৭ সালে প্রশাসকের সঙ্গে কিছুদিন সিলেক্টেড কাউন্সিলর, ১৯৯৮ সালে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, ২০০২ সালের যুবলীগের সভাপতি এবং সর্বশেষ ২০১৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রোহন করেন। লোকমান হোসেন ডাকুয়া নেতৃত্বে বিগত সময়ের চেয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ এখন আরো সুসংগঠিত।
লোকমান হোসেন ডাকুয়া নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে জয়লাভ করে তৃতীয় বারের মতো তিনি বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচিত হয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পৌরবাসীর সেবা করার জন্য।