চট্টগ্রাম নগরীতে খাল-নালায় পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে চলেছে। প্রাণহানি ঠেকাতে এক ট্রাক স্ল্যাব দিয়েছেন সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। তিনি বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে নগরীতে বিদ্যমান সমস্ত খোলা নালার ওপর জরুরি ভিত্তিতে ঢাকনি দিতে অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি একসাথে কাজ করার প্রত্যয় জানান। তিনি বলেন, ‘ঠেলাঠেলি করে লাভ কী।’
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাইগার পাসে নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে ট্রাকভর্তি স্ল্যাব নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ী মনজুর। তিনি দশ থেকে ফুট লম্বা ও তিন ফুট চওড়া ফাইবারের তৈরি এক ট্রাক স্ল্যাব দিয়েছেন বর্তমান মেয়রকে।
২০১০ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রায় এক লাখ ভোটে হারিয়ে এম মনজুর আলম বিএনপি থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দিয়ে মেয়র হন। ২০১৫ সালের নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছিরের কাছে হেরে যান। এরপর তিনি আবার পুনরায় আওয়ামী লীগে ফিরে যান। গত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মনজুর। তবে মনোনয়ন পান রেজাউল।
সাবেক মেয়র বলেন, ‘শহরের নালায় স্ল্যাব নেই। মানুষ পড়ে মারা যাচ্ছে। লোকজন নানা কথা বলছে। শুনলে তো আমারও খারাপ লাগে। তাই গিয়ে সবাইকে বলেছি স্ল্যাব বসাতে ও আলোর ব্যবস্থা করতে।’
সাবেক মেয়র আরও বলেন, ‘মেয়র সাহেবকে বলেছি, সিডিএ বা সেনাবাহিনী জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঠেলাঠেলি করে লাভ কী। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সবাইকে তো মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’
মনজুর জানান, ‘মেয়র সাহেব আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। বলেছেন আমি এগিয়ে আসতে তিনি খুশি হয়েছেন। তিনি অফিস থেকে আমাকে নিচে পর্যন্ত নিজে এসে এগিয়ে দিয়ে গেছেন।’
এ সময় তিনি প্রধান প্রকৌশলী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে আলোর ব্যবস্থা করতে বলেছেন। একসময় আমিও মেয়র ছিলাম। তারা সবাই আমার সাথে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
সোমবার রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছে নাছির ছড়া খালে পড়ে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া। আগেও এমন কয়েকটি মৃত্যু ঘটেছে। এসব ঘটনায় একে অন্যকে দুষছেন নগরের দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।