‘ওবায়দুল কাদের সারাদিন মিথ্যা কথা বলে, মিথ্যুক তিনি। আমার কাছে ২ মাস আগে যে ওয়াদা সে করেছে একটাও পূরণ হয়নি। আর তার গুনধর স্ত্রী দুর্নীতিবাজ ইসরাতুন্নেসা কাদেরের নির্দেশে আজকে পুলিশ অবৈধ খালের জায়গা দখেলের পথে বাধা সৃষ্টি করছে’।
শুক্রবার (০১ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশের প্রতি অনুরোধ করব আপনারা সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের অভিযানে বাধা সৃষ্টি করবেন না, কারো টাকা খেয়ে। এগুলো বন্ধ করেন, নিরপেক্ষ থাকেন। এসপি সাহেব ও ওসি সাহেব কতো কত টাকা খেয়েছেন? বলে সব উপরের নির্দেশ।
কাদের মির্জা বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যে অবস্থা চলছে এটা থেকে আমাদের নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। আন্দোলন করে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। এটার বিকল্প নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হায়াত খান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নুর নবীকে দল থেকে অনেক আগেই রেজুলেশন করে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে, বাদলকে বিতাড়িত করা হয়েছে স্বর্বসম্মতিক্রমে।
তিনি আরো বলেন, মন্ত্রী বলে তাদের সঙ্গে আমার ছয় মাসেও দেখা হয়নি, এক বছরেও দেখা হয়নি। এখন কি খেলা দেখালেন মিনিস্টার সাহেব, ভানুমতীর খেল খেলছেন? সব চোখ নিয়ে ভাইচালি করিয়েন না। আমনের খবর সবাই জানে। আপনার সকল তথ্য আমার কাছে আছে। ধমকি দিয়েন না। আমি জায়গা মত পৌঁছাবো। আপনি কি মনে করছেন? বুড়াকালে কি ভিমরতি হয়েছে?
তিনি বলেন, নিজেকে বিলীন করে দিতে চান? এগুলো করলে এখানে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ আপনার কবর রচনা করবে আগামী নির্বাচনে। আগামী নির্বাচনে দাঁড়াবার সুযোগও পাবেন না। আপনার কবিরহাটেও আমরা অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করব। এগুলোর জবাব পরবর্তী নির্বাচনে আপনাকে দিতে হবে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিমকে আহ্বায়ক করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে জায়গা পাননি আব্দুল কাদের মির্জা।