ফেসবুক লাইভে এসে আনন্দের বাজার নামের একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিক আহামুদুল হক মিঠু প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা যারা অফিস এসে ভাঙ্গচুর করেছেন, লুটতরাজ করেছেন তাঁদের জন্য আমি কোম্পানির সকল কার্যক্রম স্থগিত করছি।
তিনি কাস্টমারদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা লোভি। আপনারা যারা রিসেলার আছেন তাঁরা এই ই-কমার্স ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। গ্রুপ করে করে ই-কমার্স ধ্বংস করেছেন।
তিনি বলেন, আমি যখন বুঝতে পারছি এই বিজনেস আমার জন্যনা। তখন থেকে এই বিজনেস থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি।
মিঠু বলেন, আমি পূর্ববর্তী সকল অর্ডার ঠিকঠাকমত দিয়েছি। কিন্তু সর্বশেষ ক্যাম্পেইনের অর্ডারের ডেলিভারি করতে পারি নাই। ৭০ কোটি টাকার মত অর্ডার বাকী আছে।
তিনি লাইভের একপর্যায়ে বলেন, আমি আপনাদের টাকা না দিলে কি করতে পারবেন। আমি আদালতে গিয়ে নিজেকে দেওলিয়া ঘোষণা করবো৷
তবে পরে আবার বলেন, তিনি আস্তে আস্তে সবার অর্ডারের মূল টাকা দিয়ে দিবেন। তবে তাকে সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ই-কমার্স থেকে একটাকাও খাইনি। উল্টো আমি আমার ৭০ কোটি টাকা লস করেছি।
আমার অনেক পরিকল্পনা ছিল, সেসব পরিকল্পনা বর্তমান দেশের সিচুয়েশনে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কোন ইনভেস্টমেন্ট আসবেনা দেশের ই-কমার্সের বর্তমান অবস্থায়।
আনন্দের বাজারের এই মালিক বলেন, ই-কমার্স কোন ইনভেস্টমেন্ট জায়গা নয়। আপনারা এত লোভি নিজের বউয়ের পেগনেন্সির টাকা নিয়ে ই-কমার্সে অর্ডার করেছেন।
তিনি বলেন, আজকে গিয়ে কোন ব্যাংকের সকল গ্রাহক যদি তাঁদের ডিপোজিটের টাকা চায় ওই ব্যাংক দিতে পারবেনা। ব্যাংকও একজনের টাকা নিয়ে আরেকজনকে দেয়, আমরাও দিতাম। কিন্তু নতুন সিস্টেসের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে এই বিজনেসের আমি কোন সম্ভাবনা দেখছি। নিজের টাকা আর নষ্ট করতে পারবোনা। তাই আমি আনন্দের বাজারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করছি।