কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ ছিনতাইকারীকে গত ৪৮ ঘণ্টায় আমরা গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও আমরা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় আরো কিছু কাজ আমাদের বাকি রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সরাসরি যারা জড়িত তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।
সোমবার (৩ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ফার্মগেট এলাকায় পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেপ্তার সংক্রান্তে মিডিয়া ব্রিফিং ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) ড.খ: মহিদ উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ ছিনতাইকারীকে গত ৪৮ ঘণ্টায় আমরা গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটিও আমরা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। এ ঘটনায় আরো কিছু কাজ আমাদের বাকি রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সরাসরি যারা জড়িত তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। এর মধ্যে সাংবাদিককে আহত করার ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের আমরা সনাক্ত করে ফেলেছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুতই আমরা সুসংবাদ দিতে পারব বলে আশা করি।
ড. খ.মহিদ উদ্দিন বলেন, যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। ঈদ-উল আযহা কে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ রাস্তাঘাট,মার্কেট, শপিংমল ও কোরবানির পশুর হাট কেন্দ্রিক নির্বিঘ্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, তারপরও ‘অ্যাবসোলুট’ সিকিউরিটি বলতে কোন কিছু নেই। যদি অ্যাবসোলুট সিকিউরিটি বলতে কিছু থাকতো, তাহলে হয়তো সারা বিশ্বে আলাদা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন হতো না। এবার ঈদে দুইটি বড় ঘটনা সবাইকে নাড়া দিয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনা হচ্ছে, ঈদের দিন রাতে হাতিরঝিল এলাকায় একজন সাংবাদিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আহত হয়েছেন। আর অন্য আরেকটি হচ্ছে আমাদের একজন পুলিশ কনস্টেবল ছিনতাইকারীদের হামলায় ফার্মগেট এলাকায় নিহত হয়েছেন।
মনিরুজ্জামানের হত্যাকান্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডিএমপির এই অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ঘটনার দিন ভোর রাতে কনস্টেবল মনিরুজ্জামান শেরপুর থেকে বাসে করে ঢাকায় আসে। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়ার আগে সে ফার্মগেট ওই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তা পারাপার হওয়ার জন্য।
এ সময় তিন ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন প্রথমে কনস্টেবল মনিরুজ্জামানের রাস্তা অবরোধ করে এবং তার কাছে মানিব্যাগ চাই। কিন্তু কিন্তু মনিরুজ্জামান তাদেরকে মানিব্যাগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ছিনতাইকারী তিনজন হয় তিনি তাদের সাথে পেরে উঠেননি তিনি। তখন ছিনতাইকারীরা মনিরুজ্জামানের শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাত করে তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই এই ঘটনা ঘটিয়ে তারা মোহাম্মদপুর থেকে আরয়াও পশ্চিম দিকে চলে যায়। সেখান থেকে তারা আলাদা আলাদা হয়ে যায়।
তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে তাদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা বলে জানান তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নিহত মনিরুজ্জামানের বিষয়ে বলেন, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান প্রভিডেন্ট ফান্ডের ইন্টারেস্টের টাকা নিতেন না। তিনি খুব সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি যে বাংলাদেশ পুলিশে এ ধরনের কনস্টেবল আছে। তার বয়স মাত্র ৪০ বছর, এই সময় তাকে আমরা হারিয়েছি।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply