1. adnan210.net@gmail.com : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  2. themesbazar@gmail.com : theam bazar : theam bazar
  3. khanmdmahadi29@gmail.com : Khan Md mahadi : Khan Md mahadi
  4. somoyexpressnews@gmail.com : নাঈম সজল : নাঈম সজল
  5. Kanonbd1@gmail.com : নিউজ ডেষ্ক : সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেস্ক
  6. raytahost@gmail.com : theam 2022 : theam 2022
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১১:১৩ অপরাহ্ন

বাকেরগঞ্জ দূর্গাপাশা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর প্রতিদ্বন্দ্ব আওয়ামীল

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • প্রিন্ট করুন

২৬ ডিসেম্বর দূর্গাপাশা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততটাই প্রচার প্রচারনায় উৎসব মুখর হয়ে উঠেছে গ্রামীন জনপদ। চলমান স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী হানিফ তালুকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে মাঠে রয়েছেন বিদ্রহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার ও সাবেগ চেয়ারম্যান সালাম খান।
সবচেয়ে বড় বিস্ময়, যারা বিদ্রোহী হয়ে মাঠে রয়েছেন তারা কেউ বিএনপি জামাতের নন, এরা আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রার্থী!! বিদ্রোহী দমনে আওয়ামী লীগের কোন কৌশলই কাজে আসছে না। দলীয় সাধারণ সম্পাদক বার বার বলছেন, এবারের বিদ্রোহীরা চিরদিনের জন্য বহিষ্কৃত হবেন। যদিও দলের নেতা কর্মীরা এটিকে কৌশলের ঘোষণা বলেই বিশ্বাস করেন। সময়ে বহিষ্কার,অসময়ে প্রত্যাহার এসব দেখে বহিষ্কারের ঘোষণা এখন যেন আর কাউকেই বিচলিত করে না। বিদ্রোহীদের বিজয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দলীয় ঘোষণা কে বাস্তবায়ন করতে হলে, লোম পরিষ্কার করতে গিয়ে কম্বলই না আবার খালি হয়ে যাওয়ার মত।
সারাদেশে সবাই যখন আওয়ামী লীগ, এমন পরিস্থিতিতে নৌকা প্রার্থীদের করুণ চিত্র কিসের ইংগিত বহন করে? ঐতিহ্যগত ভাবে একসময় আওয়ামী রাজনীতিতে সুবিধাবাদীদের প্রাধান্য ছিল না। বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো ক্ষমতা কে ব্যবহার করে সেনা ছাউনিতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়নি। তাই দলটিতে দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা কর্মীর প্রাধান্য ছিল। কালের নিষ্ঠুর নিয়তিতে দলটি যেন ক্রমেই তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। দীর্ঘ দেড় যুগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও দলটির নিবেদিতপ্রাণ নেতা কর্মীরা যেন নিজ গৃহেই নির্বাসনে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মী হয়েও অনেক স্থানেই ত্যাগীরা যেনো পরগাছা! স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচলন দীর্ঘদিনের ত্যাগীদের মনে আশার সঞ্চার করলেও, এটিই এখন তাদের গলার ফাঁস। এখন দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে বিকল্প কোন পথ না থাকায়, এককালের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা আজ স্বেচ্ছায় দল ঘোষিত ফাঁসির মঞ্চে যেতেও সংশয় করছে না। এটি কিসের লক্ষণ?এর অন্তর্নিহিত কারণটাই বা কি? তাহলে বিদ্রোহীরা কি আওয়ামী লীগের কেউ না, অস্বীকার করার নয় দলের চরম দুর্দিনে এই বিদ্রোহীরাই রাজপথ কাঁপিয়ে রেখেছেন। আজকের তাদের কন্ঠ যেন চেপে ধরে বন্ধ করার কৌশল মাত্র।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সকল কর্মকাণ্ডে সিরাজুল ইসলাম বাশার এর উপস্থিতি কোনোভাবেই অস্বীকার করার নয়। জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে পৌরনির্বাচন ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামীলীগকে ভালবেসে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বর্তমান এই চেয়ারম্যান। সাংগঠনিক কর্মদক্ষতায় মন জয় করেছেন উপজেলার শীর্ষ নেতাদের। দির্ঘদিন দায়িত্বে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিন সম্পাদকের। ৫ বছর সফলতার সাথে চেয়ারম্যান এর দায়িত্বে থেকে এলাকায় উন্নয়ন করেছেন যাহা কিনা স্বাধিনতার ৫০ বছরেও কেউ করতে পারেনি। তারপরো অজানা কারণে নৌকার নমিনেশন থেকে ছিটকে পড়লেও সাধারণ ভোটারদের অন্তরে যায়গা করে নিয়েছেন এই ত্যাগী নেতা। ৫ নং দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের মনোনীত হয়ে আনারস মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে সকলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
তার বিজয় সুনিশ্চিত ভেবেই একটি কুচক্রী মহল প্রথম থেকেই বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রের নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিশেষ মহল। যদিও তারা ব্যার্থ মিশনে পড়েছে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে চলছে গ্রেফতারের অভিযান। নীলনকশার অংশ হিসেবে গত ১৫ ডিসেম্বর সেনের হাট বাজারে দুপুর ১ টায় বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার বাজারে উপস্থিত হলে ৭ নং ওয়ার্ডের একজন ইউপি সদস্য প্রার্থী চেয়ারম্যান কে প্রশ্ন করেন তিনি এই বাজারের কেন আসছেন বাকবিতন্ডায় জড়ায় ও তার উপরে হামলার পরিকল্পনা করলেও বাজারে সাংবাদিকদের ক্যামেরার উপস্থিতি দেখে হামলায় ব্যার্থ হয়। যাহার ভিডিও চিত্র সাংবাদিকদের হাতে সংরক্ষিত রয়েছে। ঘটনাস্থলে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন বিভিন্ন হাট-বাজারে তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে ও তার সমর্থকদের প্রচার প্রচারণায় বাধা গ্রস্থ করা সহ মারধর করা হচ্ছে। নীলনকশার অংশ বাস্তবায়ন করতে সতন্ত্র প্রার্থী বাশার সিকদারের সমর্থকদের উপর গত ১৬ ডিসেম্বর হামলা চালায়। হামলার খবর পেয়ে এসআই মনিরুজ্জামা পুলিশের টিম নিয়ে কাশিনাথ বাজারে উপস্থিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ লাঠি উদ্ধার করেন। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের মিশন বাস্তবায়ন করার লক্ষে গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪.৩০ মিনিটে গোবিন্দপুর বাজারে পরিকল্পিত হামলা অংশ হিসেবে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করে নিজে ইউপি সদস্য প্রার্থী হওয়ায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় দূর্গাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য জিএম মাসুদের উপর। হামলার ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
এই হামলার ঘটনায় নড়ে চরে বসে প্রশাসন ঘটনাস্থানে ছুটে আসেন সের্কেল এসপি সুদিপ্ত সরকার, এসিলেন্ট অবুজর মো: ইজাজুল হক, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা আলাউদ্দিন মিলন সহ প্রশাসনের একাধিক টিম। প্রশাসন কঠোর অবস্থান নেয়ায় নীল নকশা বাস্তবায়নে পিছু হেটেছে সন্ত্রাসীরা।
দূর্গাপাশা ইউনিয়ন বাসি একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে আনারস মার্কার প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষে। বলা যায় বিদ্রোহীদের জনপ্রিয়তায় সন্ত্রাসীরা বিতাড়িত হয়ে পরেছে। দূর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শক্ত অবস্থানে রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম.সিরাজুল ইসলাম বাশার। অধিকাংশ আওয়ামীলীগের নেতারা সন্ত্রাসী বাহিনীর কর্মকান্ডের কারনে অবস্থান নিয়েছে বিদ্রহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বাশার এর পক্ষে। পুলিশ সহ ইউপি সদস্য যুবলীগ সভাপতির উপর এমন হামলায় আতংকিত এলাকাবাসি স্পষ্ট ভাবে বিভক্ত হয়ে মাঠে নেমেছে ভোট যুদ্ধে।
অপরদিকে বিদ্রহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান প্রথম থেকেই নানা অভিযোগ তুলেন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও প্রচার প্রচারনার মাইক ভাংচুরের শিকার হন তিনি। আর এসব কারনে সালাম খান নির্বাচন থেকে সরে দারিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান এর আনারস মার্কা বিজয়ে লক্ষে মাঠে নেমেছেন।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ বিদ্রহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বাশার,সালাম খান, ইউপি সদস্য যুবলীগ সভাপতি সহ তাদের সমর্থকদের উপরে নানা মুখি হুমকি ধামকি হামলার ঘটনায় তারা এক জোট হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে মাঠে নেমেছে যাহা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্ত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন থেকেই যায় তাহলে কি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের লালন পালন কারি সন্ত্রাসীদের গডফাদার নিজের পায়ে নিজেই কুঠার মাড়লেন। কোন প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই তার সমর্থক কর্মিদের এমন কর্মকান্ডে বিতাড়িত হওয়ার মুখে পরেছেন সন্ত্রাসীর গড ফাদার নিজেই।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্রার্থীকে বিজয়ের লক্ষে জেলা উপজেলার নেতারা সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন।
নির্বাচন কেন্দ্র করে সহিংসতা ঘটনার পরপরে ঘটনাস্থান পরিদর্শন কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সার্কেল এসপি সুতিপ্ত সরকার, বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলাউদ্দিন মিলন জানান, হামলাকারি যেই হোক না কেন তাদের আইনের আওয়াতায় আনা হবে। কোন সন্ত্রাসীর স্থান দূর্গাপাশা ইউনিয়নে হবে না এবং দূর্গাপাশা একটি অবাধ ও সুষ্ট নির্বাচন দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2022 somoyexpress.news
Customized By BlogTheme