সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ আছে।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- এই তিন চ্যালেঞ্জ সরকারকে আগামীতে মোকাবেলা করতে হবে।
তিন খাত নিয়ে বিশ্বসংকটের বাস্তবতা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা ‘সহজ কাজ নয়’ বলেও মনে করেন তিনি। শুক্রবার সকালে নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কাদের।
নতুন সরকারের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ থাকছে এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “চ্যালেঞ্জ আসলে, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই তিনটি খাতে বিশ্ব সংকটের যে বাস্তবতা, তার প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা অত সহজ কাজ না।
“তবে আমাদের একটা বিশ্বাস আছে, আজকে যে এই সংকট অতিক্রম করে একটা শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পেরেছি, এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের জন্য সম্ভব হয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে দক্ষতা, দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন এবং সংকটে রূপান্তরের রূপকের ভূমিকা পালন করেছেন, সে কারণেই মূলত আমরা সাহস রাখি, আশা রাখি। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর, তিনি আমাদের স্বপ্নের সাহসী ঠিকানা।”
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, “চলার পথ কখনও পুস্প বিছানো ছিল না, আমাদের চলার পথ জন্ম থেকে এ পর্যন্ত কন্টকাকীর্ণই ছিল। কাজেই এই পথ আমরা অতিক্রম করি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তির কঠিন লড়াই অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।”
নতুন সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, “আমরা মন্ত্রিপরিষদ নিয়ে বৈঠক করব। বিশেষ করে আমাদের যে নির্বাচনি ইশতেহার ছিল, সেই ইশতেহার বাস্তবায়নই আমাদের মূল টার্গেট।”
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছে বৃহস্পতিবার। সেদিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন। আর সব মিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
নতুন সরকারে মন্ত্রী হিসেবে ২৫ জন এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২৫ জনের মন্ত্রিসভায় ১৭টি মন্ত্রণালয় মন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে নতুন মুখ। এই ১৭ মন্ত্রীর মধ্যে সাতজন প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় এসেছেন, দুজনের দপ্তর বদল হয়েছে এবং তিনজনের পদোন্নতি হয়েছে; বাকি পাঁচজন একসময় মন্ত্রিসভায় ছিলেন।
এর বাইরে আটজন মন্ত্রী আছেন, যারা আগের দপ্তরেই বহাল আছেন। এছাড়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে সাতজনই প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় এসেছেন, বাকি চারজন আগের দপ্তরেই দায়িত্ব পেয়েছেন।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ধানমণ্ডিতে ব্ঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং পরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply