বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:জিয়াউল হক আকন
আজ ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪ টায় বরিশালের বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে বাস চাপায় একজন পথচারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। নিহত মোঃ আসলাম হাওলাদার (৩০) পেশায় একজন মুরগী ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বিরংগল গ্রামের আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের পুত্র। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী মল্লিক পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৪০৩৬) বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ব্রিজে উঠার আগেই পথচারী আসলামকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি চালক বাস থেকে লাফ দিয়ে পালায়। এতে বাস গাড়িটি ব্রেক ফেল করে পুনরায় পিছনের দিকে এসে ধাক্কা দেয়া যুবকে পুনরায় চাপা দেয় ঘটনা স্থানে যুবক নিহত হন। বাসটির বাসস্ট্যান্ডের সরকারি কলেজের সম্মুখে হাওলাদার ফিলিং স্টেশনে রাখা ৬ টি সিএনজিকে ধাক্কা দিয়ে দুমরে মুছরে দেয় এবং হাওলাদার ফিলিং স্টেশন আলোকসজ্জার ব্যানার ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনার পরপর বিক্ষুদ্ধ জনতা বাস স্টান্ডে স্পীড ব্রেকারেরে দাবীতে টায়াল জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় বাসস্ট্যান্ড ব্রিজের দুই পাশে শতাধিক গাড়ি আটকা পরে। ঘটনা স্থানে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাধবী রায় ও ওসি তদন্ত সত্যরঞ্জন খাসকেল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাকেরগঞ্জে একের পর এক মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বাকেরগঞ্জ বাসি। একজন পথচারী বাসা থেকে বের হয়ে নিশ্চিত হতে পারেনা সড়ক থেকে আবার সুস্থ ভাবে ফিরে আসতে পারবে কিনা।রীতিমতো একটা মৃত্যুকুপে পরিনত হয়েছে মহা সড়ক।
কেউ হাড়িয়ে ফেলছে তার ভাই কেউ বাবা কেউবা তার নিকটজন। নিমিষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পরিবারের আশা ভরসা। অনেকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য হারিয়ে পথে বসতে বাধ্য হচ্ছে।
কেউ কেউ বেঁচে থেকেও সমাজের তথা পরিবারের বোঝা হয়ে টিকে থাকে। বেঁচে থেকেও বাকি জীবনটা ধুঁকে ধুঁকে অতিবাহিত করতে হয়। বরণ করে নিতে হয় পঙ্গুত্ব। এভাবেই কাটিয়ে দিতে হয় আমৃত্যু।
আহতদের মধ্যে অনেকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারে আবার অনেকে পঙ্গুত্ব হয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে হয়। অনেকে আবার মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করে নেন। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাকেরগঞ্জ বাসি।