মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ পবিত্র মাহে রমজানে ঝড়-বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়াতেও ট্রাফিক-রমনা বিভাগ সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে।
রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টিতে ট্রাফিক রমনা বিভাগের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা তদারকি, ব্যস্ততম শহরে হঠাৎ বৃষ্টির আবির্ভাবে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসলেও গতিময় ও কর্মময় এ নগরী কিছুটা হলেও স্থবির ও নিশ্চল হয়ে পড়ে! অতিবৃষ্টির প্রভাবে জলাবদ্ধতার কারনে শান্তিনগরসহ বেশ কয়েক জায়গায় গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়ায় আশেপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। উদ্ভূদ্ধ পরিস্থিতিতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর নির্দেশনায় রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এ্যাডিশনাল ডিআইজি(ডিসি) জয়নুল আবেদীন স্বশরিলে অফিসার ফোর্সদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ঝানজট নিরসনে নিরলস পরিশ্রম করে খুব অল্পসময়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই বিষয়ে রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এ্যাডিশনাল ডিআইজি জয়নুল আবেদীন এর কাছে জানাতে চাইলে তিনি বলেন “বৃষ্টি কিংবা রোদ সবসময়ই আমাদের রাস্তায় থাকতে হয়। রাজধানীর অধিকাংশ রাস্তা বৃষ্টি আসলে বেহাল দশা হয়ে যায়।কিন্তু যানজট তৈরি হলেই দোষ ট্রাফিক পুলিশের।ক’দিন ধরে রৌদে পুড়েছেন রাজধানীবাসী হঠাৎ করে রাজধানী’তে বৃষ্টি ঝরছে।জলজট যানজট তৈরি করছে।পালাক্রমে আমরা নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টা করছি, রাস্তায় থাকছি।বৃষ্টিতে ভিজে, ছাতা মাথায়, ঠান্ডায় কাজ করছি। আমাদের এ কষ্ট-দুঃখ কিন্তু শুধু পেশাগত নয়, মানুষের সেবাও বটে। কিন্তু কেউ আমাদের কষ্টের কথা কিংবা শ্রমের কথা মনে রাখতে চায় না। সমালোচনার সময় আমাদেরকেই বেশি গঞ্জনা সইতে হয়।
তিনি আরো বলেন ‘আমরা অনুভূতিশূন্য নই। আমাদের ভালো লাগা খারাপ লাগা আছে।আছে পরিবার। দায়িত্বের কারণেই গরমে ঘামি, বৃষ্টিতে ভিজি, ঠান্ডা বাতাসে কিংবা শীতে শ্বাস নিয়েই থেকে রাস্তা থেকে ডিউটি করছি। তবে সড়কে যখন মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করেন, ধন্যবাদ দেন, তখন নিজেকে স্বার্থক মনে হয়।রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও সবসময় যানজট কিংবা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। বিড়ম্বনার শেষ নেই ট্রাফিক পুলিশের। এরপরও দায়িত্ব পালন করেই যেতে হয় আমাদের। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর মানবসৃষ্টই হোক, যেকোনো দুর্যোগেও দায়িত্ব পালনে কোনো বিরতি নেই। ধুলো-বালি আর রোদ-বৃষ্টিতে অক্লান্ত পরিশ্রমের পরও ট্রাফিক জ্যামের জন্য অপবাদ শুনে যেতে হয় নীরবে।সাধারণ মানুষ যদি ট্রাফিক পুলিশের পাশে থাকে তবে এ নগরীকে আমরা স্বচ্ছ, যানজটহীন, নির্বিঘ্ন শহর হিসেবে উপহার দিতে পারবো।
মঙ্গলবার সরেজমিনে রাজধানীর,সেগুন বাগিচা,ধানমন্ডি,শাহবাগ,রামপুরা, বনশ্রী, হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা, যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকা, মহাখালী, বনানী ও উত্তরায় বৃষ্টিতে ভিজেই দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় ট্রাফিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের। কারো গায়ে রেইনকোট, কেউ ছাতা মাথায়, কেউ বা হাঁটু পানিতে ভিজে দায়িত্ব পালন করছেন এমন বাস্তব চিত্র দেখা যায়।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply