লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিমের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলার বাদি তার ভাতিজা জুলফিকার আলী।
মামলায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাছ এবং মাছের খাদ্য লুটেরও অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে মামলাটিতে ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে দাবি করছেন চেয়ারম্যান।
বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. সোলায়মান জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ২৭ জানুয়ারি রামগতির বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে চেয়ারম্যান ছাড়াও তার ছেলেসহ আরও চার জনকে আসামী করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ওই মামলার তিন নম্বর আসামী এবং প্রধান আসামী চেয়ারম্যানের ছেলে ইফতেখার হোসাইন শাওন (২২)।
অন্য আসামীরা হলেন- ফরহাদ হোসেন সুমন (৪৩), নুরুল আমিন (৬০), খুরশিদ আলম (৪৫)। তারা সকলে চর বাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামের বড় বাড়ির বাসিন্দা।
মামলায় বাদি জুলফিকার আলী উল্লেখ করেন, রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বড় বাড়ির সামনে তার একটি প্রজেক্ট রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি ভোর রাতে সেখানে ঢুকে দুটি ছাগল জবাই করে চুরি করে নেয়। এছাড়া ওই প্রজেক্টে থাকা মাছের খাদ্য এবং একটি পাম্প চুরি করে অভিযুক্তরা। ওইদিন সকালে প্রজেক্টে গিয়ে তিনি বিষয়টি জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে ছাগল জবাই করার রক্তের দাগ দেখতে পান। বিষয়টি তিনি রামগতি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি।
বাদির অভিযোগ, ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পূর্বে অভিযুক্তরা প্রজেক্টে থাকা একটি পুকুর থেকে ২০ হাজার টাকার মাছ লুট করে নেয়। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চুরি এবং লুটের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম বলেন, বাদির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো। আমি বা আমার কোন লোক এ ধরনের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত না।