নিজস্ব প্রতিবেদক: বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধভাবে সরকারি মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রতি দিনের ন্যায় ১২ই জুলাই সকাল থেকে কলসকাঠীর বেবাজ ইউনিয়নে মুনমুন-১ নামের একটি বেকু দিয়ে বেবাজ থেকে বাদশা মিয়ার ঘের সংলগ্ন স্থানে মাটি কেটে নেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,, কলসকাঠীর প্রভাবশালী ইট-ভাটার মাহাজন কবীর মিরা নিজের ইট ভাটার জন্য মাটি কেটে নিচ্ছে।
এর আগেও পদ্মা ইট-ভাটার মাহাজন সমর এখান থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি চুরি করে নিয়ে গেছে এবং সেই বেকুটি ছিল পটুয়াখালীর মোস্তফা হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির। স্থাাদনীয়রা আরও জানায়, এভাবে মাটি কাটার ফলে তাঁদের বেড়িবাঁধ ভেঙে যেকোন সময় তলিয়ে যাবে শত -শত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। কলসকাঠী ইউনিয়নের ৮নং ইউপি সদস্য বাদল সিকদার জানান, তার এলাকায়ও অবৈধভাবে বেকু-পল্টন দিয়ে সরকারি ও স্থানীয় অনেকের জমি থেকে মাটি কেটে নেয়া হয়েছে। এসব মাটি কাটার ফলে স্থানীয় অনেক বসতবাড়ি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
অবৈধভাবে কেউ মাটি কাটতে আসলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হবে। এ বিষয় উপজেলা ভূমি অফিসার আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন,,সকালে বেবাজ বাদশা মিয়ার ঘের সংলগ্ন স্থানে বেকু-পল্টন দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে আমার অফিস থেকে লোক পাঠাই। ভূমি অফিস থেকে লোক পাঠানোর খবর পেয়ে তারা বেকু-পল্টন নিয়ে পালিয়ে যায়। এর আগে পদ্মা ব্রিকসের মাহাজন সমরকে অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর ফলে জরিমানা করেছি এবং অন্যায়কারী ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হউক না কেনও আইনের উর্ধ্বে নয়। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি এবং অবৈধ মাটি কাটা প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাঈম সজল, সম্পাদকীয় কার্যালয়ঃ ২৮/এফ মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০।
copyrights @somoyexpressnews