নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালীর সেনবাগের কানকিরহাট বাজারে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ব্যবসায়ীরা সেনবাগ–সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এর আগে গতকাল সোমবার স্থানীয় দুই স্কুলপড়ুয়া ছাত্র–ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে হাতাহাতির জেরে কানকিরহাট বাজারে কেশারপাড় ও বীরকোট গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কানকিরহাট বাজার এলাকায় দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে তাঁদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। তবে আহত ব্যক্তিদের কারও নাম জানা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
এদিকে সংঘর্ষের সময় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে রাত আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগান থেকে ১১টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকালে ব্যবসায়ীরা সড়কে নামেন। সমাবেশে ব্যবসায়ীরা দোকানে হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনবাগ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে ব্যবসায়ীরা তাঁদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, কানকিরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও বালিকা বিদ্যালয়ের দুই ছাত্র–ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে ওই দুই পরিবারে মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে গতকাল সন্ধ্যায় কেশারপাড় ও বীরকোট গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান তিনি।