মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি:মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ ইউপি পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমরান হোসেন বাপ্পির নৌকা মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্প আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বত্তরা। (১৪জুলাই) শুক্রবার গভীর রাতে আলিমাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত নৌকা মার্কার ক্যাম্পটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান রাতের ওই সময় ক্যাম্পে কেউ ছিল না। আগুনে ক্যাম্পে থাকা চেয়ার ও টেবিলসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পুড়ে যায়। প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থী এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী মোঃ ইমরান হোসেন বাপ্পি।
ভোটারদের নিরুৎসাহী করার জন্য তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কর্মী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দিচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ। তিনি হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জে দুটি উপজেলাসহ ১০টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকা ডুবিয়েছেন। নৌকা দেখলেই তার গাজ্বলে, এখানেও তার অনুসারী নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছে। এমপির মদদে নৌকার কর্মী এবং অফিসে হামলা হচ্ছে। প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবি জানাচ্ছেন হামলাকারীদের গ্রেফতারের। মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে ঘটনা ঘটেছে। তাই কারা এটা করেছে সনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে। ইউনিয়ন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ’র স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুলকে চেয়ারম্যান বানাতে পংকজ নাথ’র অনুসারীরা উঠেপড়ে লেগেছে। এছাড়াও নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। কাউকে সুবিধা দিতে কেন্দ্র পরিবর্তন করার অভিযোগ। গণমানুষের দাবী উপেক্ষা করে কেন্দ্রটি পরবর্তন করে যেখানে নেওয়া হয়েছে, সেখানে ভোটারদের পোয়াতে হবে চরম দুর্ভোগ। বিঘ্ন ঘটবে ভোট গ্রহণে। কেন্দ্রটির নাজুক অবস্থা। মক্তব ঘরকে ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে। শ্রেনী কক্ষ কম থাকায় বুথের সংখ্যা কম হবে। নেই স্যানিটেশন ব্যবস্থা, আলোর ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, প্রিসাইডিং অফিসার বসার ব্যবস্থা নেই। কাদামাটি, রাস্তা নেই, লাইব্রেরি নেই। কেন এমন অবস্থা হলো, কার স্বার্থে কিংবা কার আবেদনের ফলে পরিবর্তন করা হয়েছে তা জানতে চায় ভোটাররা। স্থানীয়রা বলেন, যেখানে জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন নির্বাচন হয়েছে, হঠাৎ করে সেই কেন্দ্রটি পরিবর্তন করার পিছনে থাকতে পারে ঘুষ বানিজ্য। নির্বাচন অফিসারের নিকট এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply