এম এ আউয়াল :দক্ষিণ আফ্রিকার থাবাংচুতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা মাসুদ (৩৭)কে হত্যা করেছে কালো সন্ত্রাসীরা। ব্যবসায়ী মাসুদ নোয়াখালীর সেনবাগের কাবিলপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মৃত হাজ্বী জয়নাল আবদিনের পুত্র। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সংঘবদ্ধ একটি সন্ত্রাসী দল তার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মাসুদকে গুলি করে হত্যা করে।এ সময় ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সাখাওয়াত হোসেন নামের একজনকে পায়ে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।রক্তাক্ত অবস্হায় পালিয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সকল মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার সকালে নিহতের বড় ভাই কবির স্টিল মিলের এজিএম গোলাম সারওয়ার মানবজমিনকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আফ্রিকান পুলিশ মাসুদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে থাবাংচুর একটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে লাশটি ।
নিহতের ভাই গোলাম সারওয়ার জানান, ৮ বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়িজমান গোলাম মোস্তফা মাসুদ।সেখানে এক স্বজনকে নিয়ে ব্যবসা করছেন তারা।মাসুদের স্ত্রী, কেজিতে পড়ুয়া আবদুল মাজেদ (৬) ও আরাফাত (৩) নামে দুইটি ছেলে রয়েছে। নিহত ব্যবসায়ী মাসুদ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে এসে ২০২০ সালের জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময় আফ্রিকার থাবাংচুতে ফিরে যায়। বৃদ্ধ মাতা আনোয়ারা বেগম সহ স্বজনদের সাথে এটি ছিলো শেষ বিদায়।
থাবাংচুর নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকা সিসিক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও চিত্রে আদরের সন্তানকে কিভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করছে ওই দৃশ্য দেখে বৃদ্ধ মা আনোয়ারা বেগম (৭৫)সহ পরিবারের সকলে জ্ঞান হারিয়ে পেলেন। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
নিহতের প্রতিবেশীরা জানান,আফ্রিকায় অবস্হানরত কয়েকজন নিকটাত্মীয় মাসুদের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্হা করছে।
প্রায় সময়ই সাউথ আফ্রিকায় বাঙ্গালী দের কে গুলি করে হত্যা করছে কালো সন্ত্রাসীরা।
সম্ভ্রান্ত পরিবারে জম্মনেয়া মাসুদের নিহত হবার খবর পেয়ে কাবিলপুরের বাড়ীতে ভীড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা।
সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত মাসুদের মৃত্যুতে কাবিলপুর এলাকায় তার সহপাঠী সহ বিভিন্ন সুধীজন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।