নিজস্ব প্রতিবেদক :- ২৭বছর আগে মাদরাসার জন্য ওয়াকফ করা প্রায় তিন লক্ষ টাকা মুল্যের ৫ শতাংশ জমি ও পাকা ভবন দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষের বিরুদ্ধে৷
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নেয়ামতি ইউনিয়নের মহেশপুর বাংলাবাজার নূরানী হাফেজী ও কওমি মাদ্রাসার সীমানা ওয়াল ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের শাহাদত খলিফার বিরুদ্ধে ।
মাদ্রাসার জমিদাতাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেননি বললেন হেমা বেগম থানার সহযোগিতা না পেয়ে বাদী হয়ে কোর্টে মামলা করলেন হেমা বেগম ৷
এ বিষয়ে জমিদাতার পক্ষে মোসাম্মৎ হেমা বেগম বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিযোগ সূত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত কওমি মাদ্রাসার জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে শাহাদত খান শাহাদত খান বিভিন্ন সময় জমিদাতার পক্ষে ও মাদ্রাসা পরিচালনাকারীকে হুমকি ও বিভিন্ন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে৷
এ বিষয়ে জমিদাতার পক্ষে হেমা বেগম বলেন আমাদের এলাকায় অনেক কিছু থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। এ কারণে ১৯ ৯৭ সালে এলাকার ধর্মানুরাগী ব্যক্তিরা মিলে আব্দুর রশিদ মৃধাকে বললে তিনি তার নিজের পাঁচ শতাংশ জমি ওয়াফকা করে দেন নিজেদের অর্থে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। সময়ের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশিদ মৃধা মারা গেলে এলাকার লোকজন ও প্রতিষ্ঠাতার পরিবার মাদরাসা শরণাপন্ন হন। প্রতিষ্ঠাতা আব্দুর রশিদ মৃধা মারা যাওয়ার পরে তার পক্ষে হেমা বেগম ও তার স্বামী তারা দেখাশোনা করে আসছিল মাদ্রাসাটি হেমা বেগম বলেন মাদ্রাসার জমি দখল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় শাহাদত খান ও তার দলবল নিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে আমাদের
হেমা বেগম আরো জানান ২৪-১১-২০২৪ তারিখে রোজ রবিবার সকালে শাহাদত ও তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে লাঠিসোটা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের মাদ্রাসার ওয়াল ভেঙে ফেলে আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমরা ভয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে বাকেরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ আসলে শাহাদতকে থানায় ধরে নিয়ে যায় আমরা থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দিলে মীমাংসার কথা বলে থানা থেকে আমাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় পরবর্তীতে শাহাদত সে কোন সালিশ মীমাংসা না মানিয়া এবং মামলা হামলার ভয় ভীতি দেখায় শাহাদতের বিরুদ্ধে আমরা আদালতে মামলা করি আমরা চাই সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমাদের মাদ্রাসার জমি ও মাদ্রাসার ভবন ফিরিয়ে দেয়া হোক আমরা এখনো প্রতিনিয়ত ভয় বিতির ভিতর বসবাস করছি।
এলাকার সাধারণ জনগণ জানান শাহাদত একজন সন্ত্রাসী তার বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয় অনেকে তার ভয়ে মুখ খুলে না এলাকাবাসি হিসেবে আমি মাদরাসার জায়গা দখলের প্রতিবাদ জানাই।
মাদরাসার জায়গা দখলে অভিযুক্ত শাহাদত খান বলেন, এটা মাদরাসার জায়গা বলা হচ্ছে কিন্তু এই জমির মালিক আমি আমার কাছে জমির দলিল রয়েছে যে দান করেছে সে আমার কাছে জমি বিক্রি করে গেছে। আমার কাছে জমির দলিল রয়েছে তারা মাদ্রাসার ভবন করে মাদ্রাসার জমি দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি সাময়িক ব্যবস্থা নিয়েছি যেহেতু জমির বিষয় তারা কোর্টে মামলা করেছে কোর্টে কাগজ দেখে রায় দিবে সেই রায় অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply