জাহিদুল ইসলাম :- বাকেরগঞ্জে উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা, যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শংকায় এলাকাবাসী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় বর্তমান সরকার ইতিপূর্বের সকল কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সভাপতি পদের জন্য আহবান জানিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে ১৭ই ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বিদ্যালয় হল রুমে আলোচনা সভা করেন। সভায় উপস্থিত সবাই প্রতিষ্ঠাতা পরিবারকে স্বরণ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টিকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার জন্য দলমত নিবিশেষে সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য কাউকে এ পদের জন্য মনোনীত করাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। একইসাথে এ বিষয় সবার সন্মতিতে তিনজন গ্রাহনযোগ্য ব্যক্তিকে এ বিষয় দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়।
সে বিষয় তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে মতামত প্রকাশ করা নিয়ে তুমুল বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন নেতৃবৃন্দরা। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ফরিদ হোসেনের লোকজন একজন ব্যাক্তিকে সভাপতি বানানোর জন্য এলাকাবাসীকে চাপ দেয়। কিন্তু অপরাধী চক্রের হোতা স্লাতক পাশ নিয়ে প্রশ্নবৃদ্ধ ওই ব্যাক্তিকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকবৃন্দ কেউই চায়না। বিষয়টি আচ্ করে এক পর্যায় ফরিদুল ইসলাম সমার্থকরা দেখে নেবার হুমকি দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এ সময় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মধ্যে উপস্থিত বক্তব্য রাখছেন সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন খান, সাবেক সদস্য আইয়ুব আলী মৃধা, সাবেক শিক্ষক মাওলানা মিজানুর রহমান আজাদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহবায়ক সদস্য সাইফুল মৃধা, অবঃ বন কর্মকর্তা আঃ ছাত্তার, বি এন পি নেতা মাসুদ হাওলাদার, ইউনিয়ন বি এন পির আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম হাওলাদার, সালাম দফাদার, জাকির ডাকুয়া প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার গন্যমান্য শতাধিক ব্যাক্তি ও প্রাত্তন ছাত্ররা। বিষয় টি এলাকায় জানাজানি হলে সচেতন মহলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ হয়, তারা এ বিষয় দায়িত্বরত কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন।
Leave a Reply