নিজস্ব প্রতিবেদক :খান মেহেদী
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে মশাল হাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সেটি আবার ফিরে আসে। মিছিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রী নির্যাতন ও ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে গণ ধর্ষণের মতো এরকম একটা জঘণ্য অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীকে যেতে হবে এমনটা কোনোভাবেই কাম্য না। নারীকে হেয় করার মধ্য দিয়ে এই সমাজ নিজেকেই খাটো করে চলেছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, নারীর প্রতি এই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে না পারলে শুধু ফাঁসি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়, ধর্ষণ প্রতিরোধে দরকার একটা সর্বাত্মক সামাজিক আন্দোলন। যে আন্দোলন আমাদেরকে নারীকে দেখার চোখকে বদলাবে। এই ঘটনার পরেই সেই সর্বাত্মক সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশা করার সুযোগ নেই, তবে এটা শুভারম্ভ হতে পারে! যে সমাজে আর কোনো নারীকে এই অমানবিক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না সেরকম একটা সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টাটা এখনই শুরু করতে হবে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী তার বন্ধুর সঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে আসছিলেন। পথিমধ্যে একটি অটো থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৭-৮ জন মিলে গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা সহপাঠীকে মারধর করেন এবং ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে।
ঘটনা জানতে পেরে রাতেই শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন এবং ৩ দফা দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গোপালগঞ্জ সদরের সোনাপুর এলাকার পিয়াল নামের একজন এবং শহরের সুইপার কলোনি থেকে অন্তর ও জীবন নামে আরও দুই যুবককে আটক করা হয়।