২০০৮ সালে চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা জায়েদ খানের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হওয়া অপ্রত্যাশিত। এটা হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কোন সুস্থ মানসিকতার মানুষের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ সম্পন্ন করে অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেয়া জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এত সমালোচনায় মত্ত হওয়ার কথা নয়!!
জায়েদ খান ডজন খানেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিশ্চয়ই চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফল, কারণ তিনি চলচ্চিত্র শিল্পের ১৮ সংগঠনের বিরোধিতার মুখেও তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। চলচ্চিত্র শিল্পীদের আস্থাভাজন এই মানুটিকে নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে, তবে তা হওয়া উচিৎ গঠনমূলক, যা তার পেশাকে আরো সমৃদ্ধ করবে। নেতিবাচক সমালোচনা করতে গিয়ে আপনি নিকৃষ্টতার পরিচয় দিন, তা প্রত্যাশা করি না।
জায়েদ খানের চলচ্চিত্রে নায়ক
হিসেবে আত্মপ্রকাশ ২০০৮ সালে
২০০৮ সালে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমার মাধ্যমে তার সিনেমায় অভিষেক হয়। পরের বছর ‘কাজের মানুষ’ ও ‘মন ছুঁয়েছে মন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মায়ের চোখ’ ও ‘রিকশাওয়ালার ছেলে’। ২০১২ সালে জায়েদ খান শাবনূরের বিপরীতে প্রধান অভিনেতা হিসেবে ‘আত্মগোপন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, । ২০১৪ সালে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘অদৃশ্য শত্রু’, ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’, ‘দাবাং’, ‘মাই নেম ইজ সিমি’ এবং ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’। ২০১৫ সালে তিনি শাহ্ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সে বছরই তিনি ‘নগর মাস্তান’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন পরীমণি।
এরপর তিনি ২০১৭ সালে ‘অন্তরজ্বালা’ নামের চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন, যা তাঁর প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র। যেখানে তাঁর বিপরীতে দেখা যায় পরীমণিকে।
জায়েদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে এমএ সম্পন্ন করেছেন। তারা চার-ভাইবোন সকলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ২০১২ সালে জায়েদ খানের মা মিসেস শাহিদা হক ‘রত্নগর্ভা’ হিসেবে পুরস্কৃত হন।
সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী আজাদ মাসুম এর ওয়াল থেকে