ফিজিও তহিদ রাসেল, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টাকার লোভে নিজের ১০ বছরের শিশুকন্যাকে তুলে দিয়েছে বখাটের হাতে। আর প্রতিদিনই মায়ের সহযোগিতায় ওই শিশুকন্যাকে বারবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষক ও মাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের হাসনাবাদের আমজাদ আলী সারাং বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির ভাবি লাইলী বেগম (২২) বাদি হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করে।
পুলিশ জানায়, সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ এলাকার আমজাদ আলী সেরাং বাড়ির ফাতেমা বেগম এর ভাড়া বাসার অস্থায়ী বাসিন্দা এক নারীর (৫০) সঙ্গে কিছুদিন পূর্বে পরিচয় হয় বাঁশবাড়িয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের ছেলে ডেকোরেশন কর্মী মো. ইব্রাহিমের (৩২)। পরিচয়সূত্রে ওই নারীকে খালা ডেকে ইব্রাহিম প্রায়ই তাঁর বাড়িতে রাত্রিযাপন করত এবং মাসুদাকে টাকা পয়সা দিত। এতে ওই নারী যুবকের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগে সে রাত্রিযাপনকালে তাঁর ১০ বছর বয়সী মেয়েকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকে। এতে মেয়েটি প্রচণ্ড ব্যথা ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে মাকে ধর্ষণের কথা জানালেও মা তাকে চুপ থাকতে ভয়-ভীতি দেখাত।
একপর্যায়ে ব্যথা সহ্য করতে না পেয়ে সম্প্রতি মেয়েটি ইব্রাহিম কর্তৃক নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষিত হবার কথা তার ভাবি (২২) সহ প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা ইব্রাহিমকে ধরতে অপেক্ষা করতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার রাতেও ইব্রাহিম ওই বাড়িতে আসলে প্রতিবেশীরা মেয়েটির মা ও ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার ইব্রাহীম ও ওই শিশুর মা। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।