নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া সড়ক নির্মাণ কাজ ২০ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ৪ বছরেও শেষ না হওয়ায় এখন পাঁচ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দুই কিলোমিটার দীর্ঘ, ১২ ফুট প্রস্থের এ সড়কটি নির্মাণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৭২ লাখ ৮২ হাজার টাকা। সড়কটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান কুষ্টিয়ার যাকাউল্লা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ভরপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন। অথচ তিন দফা সময় বাড়িয়েও কাজটি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যার ফলে সড়কের দুই পাশের প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষের দিকে শুরু হওয়া ওই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। অর্থাৎ ২০ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়া সত্বেও শেষ করা তো দূরের কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চাপে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তিনদফা সময় বৃদ্ধি করেছেন। এই বছর নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা হয়তো বৃষ্টির কারণে কার্পেটিং এর কাজ বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বোয়ালিয়া গরুর হাটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নন্দপাড়া সড়কটি। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন নন্দপাড়া, বড়িয়া, দাওকাঠি, শ্যামপুর গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা নলছিটির কুসাঙ্গল গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন আসা-যাওয়া করে। এখন বেশি দুর্ভোগে পড়েছে ওই সড়ক কারণ এই সড়কটি দিয়ে এখন তেমন কোন যানবাহন চলে না।
সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী। রোলার চালিয়ে রাস্তার বিছানো ম্যাটেরিয়াল (বেড) মজবুতও করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হলেও এ রাস্তা অল্পদিনেই নষ্ট হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চার বছর ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। চার বছরে এই সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই। প্রথম বছর সড়কের মাটি কেটে বেড বানানো হলে বর্ষ মৌসুমে পানি জমে খালে পরিণত হয়েছিল। এরপর ইট আর ইটের আদলা ফেলে রাখা হয়। এখন সড়কটিতে খোয়া ঢেলে রাখা হয়েছে। বর্ষাকালে রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে স্থানীয়দের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
তারা আরো বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় নির্মাণ কাজ শেষ করছে না ঠিকাদার।
ঠিকাদার আশ্রাফুজ্জামান খান খোকন বলেন, কার্পেটিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না। তবে বর্ষাকাল শেষ হলে সড়কের নির্মাণ কাজও শেষ হবে।
উপজেলা এএলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদারকে একাধিকবার সময় সীমা বাড়ি দেয়া হয়েছে। আশা করি, খুব শিগিরই তারা নির্মাণ কাজ শেষ করবেন
Leave a Reply