1. adnan210.net@gmail.com : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  2. themesbazar@gmail.com : theam bazar : theam bazar
  3. khanmdmahadi29@gmail.com : Khan Md mahadi : Khan Md mahadi
  4. somoyexpressnews@gmail.com : নাঈম সজল : নাঈম সজল
  5. Kanonbd1@gmail.com : নিউজ ডেষ্ক : সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেস্ক
  6. raytahost@gmail.com : theam 2022 : theam 2022
রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১১:১২ অপরাহ্ন

মৃত ছেলেকে ঘুমন্ত ভেবে গ্লুকোজ খাওয়াচ্ছিলেন মা

সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেস্ক : স্বামী ও ছোট ছেলেকে হারিয়েছেন আগেই। তাই বেঁচে থাকা একমাত্র ছেলেই ছিল মায়ের শেষ সম্বল। কোনোমতেই হারাতে চান না এই যক্ষের ধন। কিন্তু মাদকাসক্ত ছেলে অনেক আগেই শেষ করে ফেলেছে নিজের জীবনীশক্তি।

আর এরই জেরে মর্মান্তিক এক ঘটনার স্বাক্ষী হলো এলাকাবাসী। ছেলের মৃতদেহ আগলে বসে রইলেন মা। খাওয়াচ্ছিলেন গ্লুকোজ। বিষয়টি টের পেতেই পৌর মেয়কে খবর দেয় স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে দেহটি উদ্ধার করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনের খবরে বলা হয়, ঘটনা ভারতের বাংলা রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পৌর এলাকার। সেখানকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চককেন্দুয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে ছেলে কৌশিক সেনগুপ্তের (৩৯) সঙ্গে থাকতেন মা বকুল সেনগুপ্ত (৫৮)। বকুল সেনগুপ্ত আয়কর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তবে স্বামী ও ছোটো ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক সমস্যা দেখা দেয় তার।

এদিক নেশায় আসক্ত ছিলেন একমাত্র ছেলে কৌশিক। কাজ কর্ম কিছুই করতেন না। নেশার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কৌশিক। সেই কারণে ঘরেই থাকতেন তিনি, এমনকি তার আধার বা ভোটার কার্ডও ছিল না। যার জেরে সম্প্রতি অসুস্থ অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও ভর্তি করানো যায়নি।

প্রতিবেশীদের দাবি, রোববার সকাল থেকেই কৌশিকদের বাড়ি থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে সন্দেহ হয় সকলের। রাত ১০টার দিকে সেখানে যেয়ে কৌশিককে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখেন তারা। পাশে বসে তার মা তাকে গ্লুকোজ খাইয়ে দিচ্ছেন। তবে গাল বেয়ে পড়ে যাচ্ছে তা। এ অবস্থা দেখেই কারোর আর বুঝতে বাকি ছিল না যে, কৌশিক আর নেই।

এরপর মেয়রকে খবর দেয়া হয়। তার উদ্যোগেই এক চিকিৎসক পরীক্ষা করে কৌশিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি মানতেই চাননি মা বকুল। বারবার তিনি দাবি করেছেন, ছেলে ঘুমোচ্ছে।

সোমবার সকালে বকুলকে জানানো হয়, তার ছেলেকে মহেশতলা থানা এবং মেয়রের উদ্যোগে পাড়া-প্রতিবেশীর সাহায্যে চিকিৎসার জন্য ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপর পার্শ্ববর্তী শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয় তার। যদিও মায়ের বিশ্বাস, তার ছেলেকে চিকিৎসার জন্যই পাড়ার লোকেরা চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2022 somoyexpress.news
Customized By BlogTheme