মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ সেবাই পুলিশের ধর্ম। পুলিশের কাজ কী এক কথায় বুঝাতে গেলে তাই বলা হয়। কিন্তু আইন ও বিধিমালা দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত পুলিশের কাজ মূলত অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। বস্তুত আইনের আওতায় প্রদত্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে তা জনগণের সেবা করাই হয়। অর্থাৎ পুলিশের কাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে জনসম্পৃক্ততা।
ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে গত ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ যোগদান করেন সাজ্জাদুর রহমান।যোগদানের পর থেকে নিজের সর্বোচ্চ শ্রম মেধা দিয়ে রমনা জোন এলাকাধীন মানুষের সার্বিক আইনি পরামর্শ সহযোগিতা দিয়ে আসছেন সাজ্জাদুর রহমান।পুলিশ মহাপরিদর্শক ড.বেনজির আহমেদ মাদক নির্মূলে জিরো ট্রলারেন্স নীতিমালা ঘোষনা দেওয়ার পর থেকে রমনা জোন এলাকায় সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,ইভটিজার,মাদক সেবন,মাদক বিক্রিসহ অসৎ উপায় অবলম্বন কারীদের এক আতংকের নাম হলেন ডিসি সাজ্জাদুর রহমান।
অপরাদ নির্মূল ও আইনের শাসনে যেমন ছিলেন বর্জের মতো কঠোর,মানবসেবায় আবার ছিলেন এক ভিন্নধর্মী বরপগলা পাথর।
বিশ্ব মহামারী করোনা যখন সারা বিশ্বের মানুষ কে ঘ্রাস করে পেলছে,বাংলাদেশে করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় ৮ মার্চ ২০২০ সালে। করোনার প্রথম ধাপে মানুষ যখন দিশেহারা ।ঠিক তখনি আত্নমানবতার সেবায় দিন-রাত কাজ করেছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।পরিবার পরিজ্ন নিয়ে নিজেই হয়েছে কয়েকবার করোনা আক্রান্ত ।
তবুও দমিয়ে যাননি সাজ্জাদুর রহমান।
করোনার প্রথম ধাপ ফেরিয়ে যখন করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় ,ঠিক তখনি খেটে খাওয়া অসহায় দিনমজুর যখন দুইবেলা দুমুঠো আহার জন্য কতই না আহাজারি করতো।ঠিক সেই মুহুত্বে মহামানবের মতো নিজের ব্যক্তি উদ্যোগের পাশাপাশি রমনা জোন থানাধীন সকল অফিসারদের সার্বিক সহায়তা রমনা থানাধীন এলাকায় টানা ছয় মাসের ও অধিক সময় ৬০০ থেকে ৮০০ জন খেটে খাওয়া অসহায় দিনমজুরের দুপুরের একবেলা সুস্বাদু খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ডিসি সাজ্জাদুর রহমান।
সুধু তাই নয় নিজ এলাকায় প্রতিনিয়ত করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিনামূল্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরন করেছেন।
সাজ্জাদুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১ এপ্রিল ঝিনাইদহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। এরপর তিনি সিলেট, নীলফামারী ও ময়মনসিংহ জেলায় সার্কেল এএসপি হিসেবে কাজ করেন। এরপর সাজ্জাদুর রহমান ২০১০ সালে জাতিসংঘ মিশনে ইউএনপিওএল লাইব্রেরিয়ায় যান। সেখানে তিনি লজিস্ট্রিক সেকশনের টিম লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সফলভাবে জাতিসংঘের মিশন শেষে করে তিনি ২০১২ সালে নারয়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৫ সালে তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম বিভাগের) উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ঢাকার বাহিরে সাতক্ষীরার এসপির দায়িত্ব পালন করেছেন।
সকলের উদ্দ্যোশে সাজ্জাদুর রহমান বলেন,রমনা থানাধীন সকল অপরাধ অনিয়মের কথা আমাদের জানান সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা ব্যবস্থা নিবো।