মুহাম্মদ এমরান
বান্দরবান:- পার্বত্য বান্দরবানে গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে পুরো জেলা। একদিকে রোদ ও ভ্যাপসা গরম আর অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের সমস্যা। দুই’এ মিলে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লামা ও আলীকদমের পৌর এলাকা জুড়ে প্রতিদিন আট থেকে দশ ঘণ্টা করে লোড শেডিং হচ্ছে। কোনো কোনো সময় এর চেয়ে বেশিও লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে লামা ও আলীকদমের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গ্রামাঞ্চলে দিন রাত মিলিয়ে ১৫ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে চিকিৎসা, শিল্পকারখানা ও কৃষিতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এতে তীব্র গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এদিকে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে, অপরদিকে অতিরিক্ত গরম পড়ার কারণে বিদ্যুৎতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদার কারণেই লোডশেডিং সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তাপমাত্রা কমে আসলে এই সমস্যার সমাধান হবে।
লামা-আলীকদমেরের ব্যবসায়ীরা বলেন, দিন রাত সব মিলিয়ে ঠিকমতো পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা, একদিকে প্রচুর গরম, অন্যদিকে বিদ্যুৎ নেই, ক্রেতারা দোকানে আসতে চাইনা, দোকানে আসলেও সন্ধ্যা পরে বিক্রি করতে পারিনা, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে যায়। এতে আমাদের ব্যবসায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এর থেকে প্রতিকার চাই।
০৩ নং ফাঁসিয়াখালী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, প্রচণ্ড গরম, তার ওপর সারাদিন মাঠে কাজ করি, রাতে বাড়িতে গিয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারিনা। দুই সপ্তাহ ধরে কমপক্ষে আট-দশ ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিং ও তীব্র গরমের কারণে বাচ্চাটাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমি এর প্রতিকার চাই।
আলীকদম উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, দিনে কয়বার বিদ্যুৎ যায় এর কোনো হিসেব নাই। একবার গেলে আর সহজে আসে না। একদিকে গরম আর অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের জ্বালায় অসুস্থ হয়ে পড়ছি পরিবারের সবাই।
স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলে, সামনে আমাদের এসএসসি পরীক্ষা, রাতে পড়তে বসার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়, ঘন্টা দুয়েক পরে আসলেও ঠিকমতো আধাঘন্টা থাকেনা, আমাদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে, আমরা ঠিক মতো পড়া শিখতে পারছিনা, কি ভাবে পরীক্ষা দিবো? আমরা এর প্রতিকার চাই।
Leave a Reply