নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :অনেক মসজিদে খুতবাতে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয়ভাবে বিভেদ তৈরির কথা বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবী যেখানে অন্য ধর্মের সম্প্রীতির কথা বলেছেন। সেখানে এত বছর পরে এসে আমরা সম্প্রীতি না বাড়িয়ে অনেক সময় বলি আমরা শ্রেষ্ঠ। হে আমাদের ইসলাম ধর্ম শ্রেষ্ঠ কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের বহি:প্রকাশ তো অন্যকে ছোট করে নয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আগে বিভিন্ন দিবসগুলোতে পাড়া মহল্লায় দেশের গান শুনতাম। কিন্তু ইদানিং শুনি না আমরা কোথায় জানি গুটিয়ে নিচ্ছি নিজেদের। ধর্মীয় অনুভূতি তো থাকবেই আমাদের। ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ করবো আপনারা যখন মসজিদে খুতবা দেন কিংবা মন্দিরে কথা বলে বা চার্জে কথা বলেন সকল ধর্মের সম্প্রীতির কথা বলবেন। আপন করার প্রবণতা থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এদেশ সম্প্রীতির দেশ। আমরা এখানে একসাথে মিলেমিশে বসবাস করি। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাক। পৃথিবীর বহু দেশ আছে যেখানে একই সাথে অনেক ধর্মের লোক বসবাস করছে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কেউই বাড়াবাড়ি করছে না। মাঝে মাঝে আমাদের দেশে কিছু স্বার্থান্বেসী মহল নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ধর্মের কথা বলে উস্কিয়ে দিয়ে নিজের কার্যত সিদ্ধি করতে চাচ্ছে। তার মধ্যে বর্হিবিশ্বেরও কিছু ইন্ধন থাকে। সবমিলিয়ে কোনো কোনো সময় তারা দেশকে অস্থীতিশীল করতে চায় এবং অস্থির করার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ধর্ম। এই ধর্মকে তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়।
আইভী বলেন, বাংলাদেশকে যতবার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবারই রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মকে টেনে আনা হয়েছে। ধর্মের উন্মাদনা আমরা দেখেছি। দিনশেষে এটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ বাংলাদেশ জন্মই হয়েছে আমরা স্বাধীন দেশ এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ধর্ম পালন করবো বঙ্গবন্ধু এটাই চেয়েছিলেন। এটা চেয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে আমরা জয় লাভ করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। আমি জাতির পিতা সহ সকলের প্রতি সম্মান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বাঙ্গালি কিছু কুলাঙ্গাররা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক ও জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মো. জাকির হোসাইন।