মাসুদ রানা,সিনিয়র রিপোর্টারঃ সাম্প্রতিক সময়ে ডিএমপি ডিএমপি লালবাগ থানার বিশেষ অভিযানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর লালবাগ থানাধীন এলাকায় তৈরীকৃত দশ লক্ষ বিশ হাজার জাল টাকা ও ভারতীয় এক লক্ষ রুপি এবং জালটাকা তৈরীর যাবতীয় সরঞ্জামাদি উদ্ধার ও চক্রের মূল হোতাসহ ৩ জন’কে গ্রেফতার করছে ডিএমপি লালবাগ থানা পুলিশ।
দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগে নতুন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)জাফর হোসেন বলেন,লালবাগ থানাধীন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় কিছু কুচক্র মহল বাংলাদেশি টাকা জাল নোট ও ভারতীয় রুপিসহ জাল করে মর্মে সংবাদ আসে ।
তারাই ধারাবাহিকতায় গত ৪ আগষ্ট ২৩ ইং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লালবাগ থানাধীন আর এন ডি রোডস্থ শ্মশানঘাট কালিমন্দির এর সামনে হতে আসামী মো মাহি(১৯)ঢাকাকে গ্রেফতার করে,গ্রেপ্তারের সময় তার হেফাজত হইতে বাংলাদেশী ১০০০ (এক হাজার) টাকার ৫০ টি জালনোট (১০০০×৫০) = ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে উক্ত জাল টাকার উৎস সংক্রান্তে ১নং আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া তাহার দেওয়া তথ্য মতে, আসামী সাজ্জাত হোসেন রবিন(৩৮)সাদমান হোসেন হৃদয়(৩০)’কে গত ৪ আগষ্ট ২০২৩ ইং রাত্র অনুমন ১১,ঘটিকায় তাদের উল্লেখিত বর্তমান ঠিকানার বাসা হইতে গ্রেফতার করেন ।
তাদের হেফাজত হইতে বাংলাদেশী জালনোট ৯৭০(নয়শত সত্তর)টি যার প্রতিটি ১০০০/-(এক হাজার) টাকার নোট মোট (১০০০×৯৭০)= ৯,৭০,০০০/- (নয় লক্ষ সত্তর হাজার) টাকাসহ সর্বমোট (৯,৭০,০০০ + ৫০,০০০) = ১০, ২০,০০০/- (দশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং ভারতীয় জালরুপি২০০(দুইশত) টি নোট, যার প্রতিটি নোট ৫০০ রুপি মূল্যমানের মোট(২০০×৫০০)= ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) রুপি এবং জাল টাকা ও জাল রুপি তৈরীর সরঞ্জামাদি একটি HP ব্রান্ডের ল্যাপটপ, যার Reg Model – HSTNN – C83C Made in China, Hp Probook 4102 সহ ইত্যাদি লেখা আছে,একটি EPSON ব্রান্ডের কালো রংয়ের প্রিন্টার, যাহার মডেল L 130,একটি স্কিন প্রিন্ট ফ্রেম,জালনোট তৈরীর জন্য দুইশত পিচ সাদা কাগজ,Inkjet Ink কালির বিভিন্ন রংয়ের কার্টিজ ০৪(চার) টি ব্যবহৃত,সিকিউরিটি থ্রেড পেপারের রোল ০১(এক) টি,প্লাস্টিকের বিভিন্ন রংয়ের কোটা ব্যবহৃত ০৪(চার) টি,একটি এন্ট্রি কাটার,একটি স্টীলের স্কেল,একটি স্ক্রু ড্রাইভার,একটি স্টার স্ক্র ড্রাইভার,দুইটি সিরিঞ্জ,একটি উদ্ধার পূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।
গ্রেফতারকৃত ২ নং আসামী একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার সে গ্রেফতারকৃত ৩নং আসামী এবং পলাতক সহযোগী আসামী ৪মোঃ হুমায়ুন কবির সিকদার (৪২)মোঃ শফিউল্লাহ্ সিকদারদের সহযোগীতায় ২০০৭ সাল হইতে জালটাকা ও জালরুপি কারখানার মাধ্যমে কোটি কোটি জালটাকা ও জালরুপির তৈরী করতঃ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা এবং ভারতে বাজারজাত করিয়া আসিতেছে। উক্ত আসামীরা জালটাকা ও জালরুপি তৈরী চক্রের সক্রিয় সদস্য।পলাতক সহযোগী আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে বলে ও জানান তিনি।
Leave a Reply