নিজস্ব প্রতিবেদক বাকেরগঞ্জ :- রবিবার (৬ আগষ্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে তারা অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্যরা হলেন জিয়াউর রহমান, মো: খোকন শিকদার, মো: ইউনুস খান, আবুল কালাম, মো: খালেক হাওলাদার, মো: সাইফুল ইসলাম বাচ্চু, মো: রমজান গাজী ও পারুল বেগম।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার সরকারি কোনো বরাদ্দপত্র ইউপি সদস্যদের কাছে প্রকাশ না করে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেন। ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তার তহবিলের দুই বছরের বরাদ্দের তথ্য গোপন করে কোথায় কোন কাজে বাস্তবায়ন করেছেন তা ইউপি সদস্যরা জানে না। এছাড়া অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজপিপি) বরাদ্দ, গভীর নলকূপ প্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে নলকূপ প্রদান, টিআর- কাবিখা বরাদ্দ, গভীর সমুদ্রে জেলেদের বরাদ্দকৃত ৮০ জন উপকারভোগীদের চাল বিতরণে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের বিষয়ে ইউপি সদস্যরা কিছুই জানে না।
এছাড়াও তালিকাভুক্ত জেলে জাহাঙ্গীর গত ৩ মাস আগে জেলা প্রশাসক বরাবর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদারের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চাল বিতরণ ও আত্মসাতের তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলেও তদন্ত প্রতিবেদনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পর্যন্ত যায়নি।
ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন,অপকর্ম নিয়ে যেন মেম্বাররা কথা না বলেন, সে জন্য চেয়ারম্যাম জনসম্মুক্ষে তাদের সঙ্গে অসদাচরণ ও গালিগালাজ করেন।
অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার বলেন, আমি কিছু জানি না। তাদের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে, হয়তো এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
News Editor
Leave a Reply