1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কায়েস আরজু-শিরিন শিলা “গবেট” আজ থেকে সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ফেসে যাচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, হারাতে পারেন চাকরি সালমান রাজের ‘বধুরে’ গানে হান্নান শাহ-এস কে মাহি সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সদস্যদের সাথে ঢাকার বার্তার চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী সেঁজুতি খন্দকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী জাকির হোসেন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ অনুমতি ছাড়াই বিদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘তুফান’ ফ্রান্সে সম্মাননা পেলেন তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা বিএনপি-আ.লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ

মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ স্মরণে- মুহম্মদ আলতাফ হোসেন।

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদ:-; (১৮ই আগস্ট মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ নিবন্ধ)
সুসাহিতিহ্যক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, চিন্তাবিদ, সমাজ সংস্কারক মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসের এক কিংবদন্তীর নায়ক। বহুমূখী প্রতিভা ও দুর্লভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী আকরম খাঁর জন্ম ১৮৬৯ সালের ৭ই জুন পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাট মহকুমার হাকিমপুর গ্রামে। ১৯৬৮ সালের ১৮ই আগস্ট তিনি ৯৯ বছর বয়সে ঢাকায় ইন্তেকাল করেন । তাঁর বংশের রয়েছে এক বর্ণালী ঐতিহ্য। মোহাম্মদ আকরম খাঁ’র পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন পীরালী ব্রাহ্মণ। পঞ্চদশ শতকে বাগেরহাটের শাসনকর্তা খানজাহান আলীর সময় তারা ইসলামী জীবন দর্শনে মুগ্ধ হয়ে ধর্মান্তরিত হন। পিতামহ তোরাব আলী খাঁ সৈয়দ নিসার আলী তিতুমীরের সহযোদ্ধা হয়ে বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। পিতা আবদুল বারী খাঁ সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভীর নেতৃত্বে বালাকোট প্রান্তরে শিখ ও ইংরেজ বিরোধী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। পিতা ও পিতামহের এই বিপ্লবী রক্ত আকরম খাঁ’র ধমনীতে প্রবাহিত হয়। তার ১ বছর বয়সে ১৮৭০ সালে মাতা পিতা উভয়ে একদিনে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জীবনের এই মহা ট্রাজেডিও তাঁকে কাবু করতে পারেনি।
১৯০০ সালে কলকাতা মাদ্রাসা থেকে এফ.এম. পাশ করার পর তিনি কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হন। সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে তিনি নিজেই একটি ইনষ্টিটিউট। তাঁকে বলা হয় মুসলিম বাংলা সাংবাদিকতার জনক ও পথিকৃৎ। মাসিক মোহাম্মদী, সাপ্তাহিক মোহাম্মদী, দৈনিক মোহাম্মদী, মাসিক আল এসলাম, উর্দু দৈনিক জামানা, সাপ্তাহিক সেবক, দৈনিক সেবক, দৈনিক আজাদ পত্রিকা তাঁর কর্মপ্রচেষ্টার ফসল। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে এবং মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় এসব পত্রিকা কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বঞ্চিত, শোষিত, অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত ও পশ্চাদপদ মুসলিম সমাজের উন্নতি অগ্রগতির চিন্তায় আকরম খাঁ ছিলেন সদা বিভোর। ইংরেজ শাসক গোষ্ঠীর দ্বিমুখী নীতি এবং প্রতিবেশী হিন্দু সম্প্রদায়ের বৈরী আচরণে মুসলমানরা ছিল বিপর্যস্ত। মুসলমানদের এ ঘোর দুর্দিনে আকরম খাঁ সিপাহসালারের ভূমিকা পালন করেন। মুসলমানদের অধিকার, তাদের অসুবিধা ও সমস্যাবলী সরকারের গোচরীভূত করার জন্য তিনি মসীযুদ্ধ চালান। রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রেই তৎকালে মুসলমানরা ছিল পশ্চাদপদ। পরাধীন ভারতে তারা ছিল চরম অসহায়। হিন্দুদের কাছে তারা ছিল মুচলমানের ব্যাটা, চাষা, মোল্লা, ম্লেচ্ছ, যবন, অসুর। আর বৃটিশ সরকারের কাছে ছিল ‘বিদ্রোহী যুদ্ধাপরাধী। সেই প্রেক্ষিতে ‘মুসলামন’ হওয়াই ছিল সবচেয়ে বড় অপরাধ। বাবু, ভদ্রলোক বলতে বুঝানো হত হিন্দুদের। আর তাদের কাছে মুসলমানরা ছিল নিকৃষ্ট, অধম জীবতুল্য। আর হিন্দুদের প্রধান পত্রিকা আনন্দবাজার, বসুমতী, প্রবাসী সর্বদাই মুসলিম বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত থাকত। আকরম খাঁ’র সাপ্তাহিক মোহাম্মদী এর উপযুক্ত জবাব দিত। সাপ্তাহিক মোহাম্মদী এজন্য বাংলা, আসাম ও বার্মার মুসলমানদের ছিল জনপ্রিয় পত্রিকা। শহর, বন্দর ছাড়িয়ে মফঃস্বল এলাকায়ও এর চাহিদা ছিল তুঙ্গে। সাপ্তাহিক ও মাসিক মোহাম্মদী বহু তরুণকে সাংবাদিকতা পেশায় উদ্বুদ্ধ করে। যারা পরবর্তীকালে বড় সাংবাদিক, লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ১৯২১-২২ সালে আকরম খাঁ সাংবাদিকতা পেশার জন্য জেল খাটেন। ১৯২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দৈনিক সেবকে ‘অগ্রসর! অগ্রসর!’ শিরোনামে বিদ্রোহাত্মক সম্পাদকীয় লেখার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ ডিসেম্বর কলকাতার তৎকালীন প্রেসিডেন্সী ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ সুইনহোর বিচারের প্রহসনে তাকে এক বছর কারাদন্ডে দন্ডিত করেন। সেবকের জামানত বাতিল করে সরকার। সেবকের উপর সরকারী নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে সাপ্তাহিক মোহাম্মদীকে দৈনিকে রূপান্তরিত করা হয়। কাজী নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আবুল কালাম শামসুদ্দীন, মুজীবুর রহমান খাঁ, মঈনউদ্দিন হুসায়ন প্রমুখ দৈনিক মোহাম্মদীতে কাজ করতেন।
১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বর মুসলিম নবজাগরণের কন্ঠস্বর হিসেবে মাসিক মোহাম্মদী দ্বিতীয় পর্যায় আত্মপ্রকাশ করে। বহুযুগ ধরে পুঞ্জিভূত মুসলিম সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামী দূরীকরণ এবং ইসলামী মূল্যবোধের বিকাশে মাসিক মোহাম্মদী ছিল প্রধান নিয়ামক। প্রথমে আকরম খাঁ’র বড় ছেলে খায়রুল আনাম খাঁ ও পরবর্তীতে আবুল কালাম শামসুদ্দীন মাসিক মোহাম্মদীর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতার প্রবাসী ও ঢাকার শিখা ছিল এ সময় মাসিক মোহাম্মদীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। এ সময় ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বঙ্গিমচন্দ্রের বন্দেমাতরম গ্রহণ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম শ্রীপদ্মকে কেন্দ্র করে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে এক বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন সংগঠিত হয়। মাসিক মোহাম্মদী মুসলমানদের পক্ষাবলম্বন করে প্রবন্ধ নিবন্ধ প্রকাশ করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলমান ছাত্রদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমান ছাত্রদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণের স্বরূপ উন্মোচনের লক্ষ্যে মোহাম্মদী একটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। ছাত্রদের আন্দোলন ও মাসিক মোহাম্মদীর যুগান্তকারী ভূমিকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শ্রী বাদ দিতে বাধ্য হয়। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আকরম খাঁ’র শ্রেষ্ঠ কীর্তি দৈনিক আজাদ। ১৯৩৬ সালের ৩১ অক্টোরব কলকাতা থেকে এটি প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬-৪০ সাল পর্যন্ত নিজে এবং ১৯৪০-৬২ পর্যন্ত আবুল কালাম শামসুদ্দীন অধুনালুপ্ত দৈনিক আজাদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপমহাদেশের আযাদী আন্দোলন, মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি নির্মাণ এবং মুসলিম লীগের আদর্শ প্রচারে দৈনিক আজাদ প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করে।
সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি ছিলেন নন্দিত, আলোচিত। তার অমূল্য কীর্তি মোস্তফা চরিত এবং মোছলেম বঙ্গের সামাজিক ইতিহাস। এছাড়া যীশু কি নিষ্পাপ, এসলাম মিশন, মোস্তফা চরিত্রের বৈশিষ্ট্য, উম্মুল কেতাব, বাইবেলের নির্দেশ ও প্রচলিত খৃষ্টান ধর্ম, মুক্তি ও ইসলাম, তফসীরুল কোরআন ১ম-৫ম খন্ড, মিশ্র ও স্বতন্ত্র নির্বাচন, সমস্যা ও সমাধান, এছলামের রাজ্য শাসন বিধান প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য রচনা। এস

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews