এম এ আউয়াল : সেনবাগের কানকিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা মো: ইউছুপ রাফি (২১) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার সহ ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নিহতের সহপাটি, কলেজ শিক্ষার্থী সহ স্হানীয় লোকজন।বুধবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা ব্যাপী কানকিরহাট- সোনাইমুড়ী সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন,কেশারপাড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক স্বপন ভূঞা, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রিংকু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক খন্দকার টিপুসহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য,গত ২৮ মে রাতে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের নিজবাড়ী হতে স্হানীয় সন্ত্রাসী ইমরান(২১) তার বন্ধু কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে রাত ১১ টায় তার বসতঘরে ডেকে নেন। রাত দুইটা পর্যন্ত তারা আড্ডা দেন সেখানে। পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হঠাৎ ইমরানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রাফির গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এব্ং ইমরানের নিথর দেহ মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে খাটে শুইয়ে রাখে রাফিকে।
রাতে ইমরান রাফির মাকে জানান, রাফি আত্মহত্যা করেছে।খবর পেয়ে মা, ভাই সহ স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাফি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও দুই মাস পাঁচ দিন পর ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্হায় পহেলা আগষ্ট রাফির মৃত্যুঘটে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় মামলা হয়েছে। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা ও তদন্তের ভিত্তিতে আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কানকিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ কাজী একেএম নেছার উদ্দিন বলেন, মেধাবী ছাত্র রাফি হত্যা ঘটনার নিন্দা জানাই।অভিলম্ভে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কেশারপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক ভূঞা বলেন,ছাত্রনেতা রাফিকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন তিনি। এদিকে,নির্মম ভাবে কলেজ ছাত্র রাফি হত্যার ঘটনায় সহপাটি সহ পরিবার পরিজনের মাঝে চলছে শোকের মাতম। ঘটনায় জড়িত ইমরান সহ তার পরিবারের সদস্যরা বিল্ডিং তালা লাগিয়ে নিরুদ্দেশ রয়েছে।