গোসাইরহাট (শরীয়তপুর)প্রতিনিধি:- শরীয়তপুর গোসাইরহাটের কোদালপুরে প্রকাশ্যে রড দিয়ে পিটিয়ে মনির (৪০) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। গতকাল শনিবার রাত দশটার দিকে কোদালপুর ছৈয়াপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত মনির পেশায় জেলে নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন মনির
ঐ গ্রামের ঈসমাইল বেপারী ছোট ছেলে। এঘটনায় নিহত মনিরের স্ত্রী বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে গোসাইরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশ তাতক্ষনিক ৭’জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
আসামীরা হলেন আশিক(২৫) খালেক বেপারী(২৭)শহীদ বেপারী(৬৫) শাওন বেপারী(৩৪) হোসনয়ারা (৩৫),আলেক(২০)রফিক(৩০) জোসনা(৪০),শুক্কুর(৪০) ফিরোজা(৬০) তাদের উভয় ছৈয়াল পাড়া গ্রামের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ছৈয়ালকান্দি গ্রামে শহিদ বেপারীর স্ত্রী ফিরোজা বেগমের জুতা হারোনোকে কেন্দ্র করে একই বাড়ির মনির বেপারীর স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া হয়। শনিবার রাত ১০ টায় ঝগড়ার মীমাংসা করার জন্য মনিরের পিতা ইসমাঈল বেপারীর বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় প্রকাশ্যে আশিক লোহার রড দিয়ে মনিরের মাথার নিচে ঘারের ভিতরে ঢুকেয়ে দেয় এতে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এরপরে তার পরিবারের লোকজন মুমূর্ষ অবস্থায় গোসাইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মনিরকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত মনির এর বড় ভাই আবুল বেপারী (৪৫)বলেন, একজোড়া পুড়াতন জুতার জন্য ছয় সাতজন যুবক আমার ভাই কে আমাদের সামনে রড দিয়ে এলোপাতারি পিটাতে থাকে এক পর্যায়ে মাথার পিছন সাইট দিয়ে রড ঢুকিয়ে দিলে মাটিতে লুটিয়ে পরে এবং তখন তাকে আমরা হাসপাতাল নিয়ে গেলে মারা গেছে বলে জানায়।
গোসাইরহাট থানা পরিদর্শক ওবায়েদুল হক বলেন,পারিবারিক কলহর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে মনির নিহত হয়। ৭’জনকে আটক করা হয়েছে আজকে তাদেরকে আদালতের প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply