রশিদুর রহমান রানা শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের বাদলাদিঘী গ্রামের ড্রাইভার আলমগীর হোসেন এবং গৃহিনী রেনুকা বেগুমের দ্বিতীয় পুত্র রাব্বি হাসান। সে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ভর্তি হয়।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় রাব্বি হাসানের বাবা ড্রাইভার আলমগীর হোসেন ছেলের লেখাপড়ার ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না।
ঢাকা শহরের সুনাম ধন্য বিদ্যাপীঠে ছেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় বাবা নিজের সামান্য জমি বিক্রি করে ছেলের মনের আশা পুরন করেন একজন বাবা।
কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই রাব্বি হাসানের কপালের চিন্তার ভাজ পরে যায়। তার বাবা আর তাকে কয়েক মাস যাবত কোনো টাকা পয়সায় না দেয়ায় অনেক কস্ট করে ঢাকায় টিকে আছে শিক্ষানুরাগী রাব্বি হাসান।
মুঠো ফোনে রাব্বি হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায়, আমি গত দুই মাস যাবত খুব কস্ট করে ঢাকায় টিকে আছি। আমার বাবা আমাকে কোন টাকা দিতে পারছে না। আমি মানসিক ভাবে ভেংগে পড়েছি। আমার মনে হয় আর পড়া শুনা করা হবে না। কথা গুলো বলার পর কান্নায় ভেংগে পরেন রাব্বি হাসান।
রাব্বি হাসানের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমি একটি স্কুলের সামান্য একজন ড্রাইভার। যা বেতন পাই তা দিয়ে আমার সংসার চালানোই কঠিন। আমার ছেলেকে লেখাপড়ার খরচ দেব ক করে। তাই ছেলেকে বলেছি আমি তোমার লেখাপড়ার খরচ দিতে পারছি না। তুমি এসে কোন একটা কলেজে ভর্তি হও। এই কথা গুলো বলার সময় তিনি নিজেক ব্যর্থ বাবা বলে নিজেকে আখ্যায়িত করে চোখের জল ফেলছে আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছেন।
একজন শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে অনেককে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাব্বি হাসানের বাবা আলমগীর হোসেন।
News Editor
Leave a Reply