ওটিটির জনপ্রিয়তায় শ্যামল মাওলা হয়েছেন অপ্রতিরোধ্য নাকি শ্যামল মাওলার কাস্টিং এ ওটিটি হয়েছে আরো জনপ্রিয়?
ওটিটি আর শ্যামল মাওলা আমার আর ওটিটি একে অন্যের পরিপূরক। নাটকের দুর্দান্ত অভিনয় টা ওটিটি তে এসে যেনো আর বিকশিত হয়েছে, আরো পূর্ণতা পেয়েছে।
নাটক বা সিনেমায় যে হিরো যে সময় টপ পজিশনে থাকে তাকে কাস্ট করা মানেই সেই প্রজেক্ট হিট। তবে বেশি কাজ করলে একটা সময় মান পড়ে যায়। সেটা বলিউডের অক্ষয় কুমার কিংবা আমাদের দেশের শাকিব খানের বেলায় ও ঠিক। তবে শ্যামল মাওলা এখানে ব্যতিক্রম। ওটিটির জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়েছেন তবে কখনো ডুবে যান নি। ডুবে যান নি তার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কারনে, ডুবে যাননি তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারনে সর্বোপরি ভাল কাজের সাথে যুক্ত থেকে।
কিছু সময় আর্টিস্টকে ভাল কাজ খুজে নিতে হয়, আবার কিছু সময় ভাল কাজ ই তার যোগ্য আর্টিস্ট খুজে নেয়। শ্যামল মাওলার ক্ষেত্রে হয়তো দ্বিতীয় লাইনটা সঠিক। কিভাবে যেনো ওটিটির ভাল কাজের সাথে উনি যুক্তই থাকেন। অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারনে তাকে নিয়ে সমালোচনার জায়গাও থাকে না।
সাইলেন্সের লোভী দম্পতির হাজবেন্ড চরিত্র করতে গিয়ে রীতিমতো সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেছেন, আবার সদর ঘাটের টাইগারের টাইগার হয়ে দেখিয়েছেন নিজের অভিনয়ের ক্যারিশমা।
মহানগর থেকে মহানগর ২, লীড কাস্টে রদবদল হয়েছে বেশ। তবে ওসি হারুন আর আফনান চৌধুরী ঠিকি ছিলেন স্বমহিমায়। আফনান চৌধুরীর ওরফে শ্যামল মাওলার মুখে “ওরে আমার লাগবে’ তো রীতিমতো ভাইরাল ডায়ালগ।
বাংলাদেশ আর সিগমা বাংলাদেশ ২জায়গায় ২ধরনের চরিত্র প্রোট্রে করেছেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আমি কী তুমি নামক আরেক সিরিজে।
ভিন্ন চরিত্রের এই খেলে সর্বশেষ সংযোজিত নাম ভাইরাস সিরিজ আফজাল চরিত্র। অফিসের প্রেশারে যিনি অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়েন, এরপর ভাইরাস কেন তাকে এটাক করে? ভাইরাস থেকে তিনি কি মুক্তি পান কি না? এসব প্রশ্নের উত্তর নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দুর্দান্ত ভাবেই দিয়েছেন ওটিটির কিং তথা শ্যামল মাওলা।
এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন দ্রুতই অন্য কাজের সাথে যুক্ত হয়েছেন। সময়মত জানা যাবে সেটা। ভাল কাজের ক্ষুদা যেনো পেয়েই থাকে শ্যামল মাওলা কে।
তারউপর ওটিটি তেও তো নিয়মিত হিট কাজ দরকার, আর হিট যেখানে দরকার সেখানে তো অবধারিতভাবে উপস্থিতির প্রয়োজন শ্যামল মাওলার।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply