1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  3. [email protected] : News Editir : News Editir
রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না বাকেরগঞ্জের শিক্ষা অফিসের প্রধান সহকারী রিয়াজ উদ্দিন

  • আপডেট সময় বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক  :- বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোঃ রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদারের ঘুষ গ্রহণের ভিডিও বাইরাল। নতুন এমপিও পদোন্নতি শিক্ষকদের ট্রেনিং মাধ্যমিক স্তরে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খেলাধুলা প্রত্যেক মাসের এমপিও (বেতন ভাতা) এরিয়া বিল থেকে ঘুষ ও দুর্নীতি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রিয়াজুল ইসলাম জানান তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলার একাধিক অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সুপাররা রিয়াজুল ইসলামের ঘুষ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার করে যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, বাকেরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার ২০২০ সালের অক্টোবরে যোগদান করেন। যোগদান করার পর থেকেই ৬৩ টি মাদ্রাসা ৮৭ টি মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যম বিদ্যালয় এবং ২৪ টি কলেজের শিক্ষক দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করছেন প্রায় অর্ধ কোটি টাকা । প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে মাসিক বেতন পাস করার জন্য কমপক্ষে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা দিতে হতো, নতুন এমপিও করন, সিনিয়র স্কেল এরিয়া বিল ও টাইম স্কেলে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না রিয়াজ। এতে করে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে কয়েকদিন পূর্বে নতুন যোগদানকারী কেরনিক ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর এমপিওতে নাম উঠানের নামে ডিজি অফিসের কাগজ পাঠানোর জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন যার বেশ কয়েকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ।
এ বিষয়ে সাহেব পুর মাদ্রাসা প্রভাশক মোঃ নুরুল আমিন জানান তার সিনিয়র স্কেল পাওয়ার জন্য ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন অফিস সহকারী রিয়াজ তিনি তাকে বাধ্য হয়ে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন , চরাদী মাদ্রাসার প্রভাষক এম,এ মতিন, মোহাম্মাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক দেউলি আলিম মাদ্রাসক সহ প্রায় ২০-২৫ জন প্রভাষক প্রথম আলো কে জানান সিনিয়র স্কেল নেয়ার জন্য রিয়াজুল ইসলাম হাওলাদার কে কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা না দিলে কোন কাজ করেন না বাধ্য হয়েই তাদেরকে রিয়াজের দাবিকৃত টাকা দিতে হয়।
এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের জন্য ২-৩ ধাপে কয়েক কোটি টাকা আসে, যার সিংহভাগ আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এমনকি মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলোর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের সময় কন্টাক করে ১থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং ইস্কুল সংক্রান্ত কোনো ঝামেলার তদন্তে গেলে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে রিপোর্ট দিতেন । এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা তপন কুমার প্রথম আলো কে জানান মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি শিক্ষকদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়কে তার বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে তিনি অচিরেই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews