1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  3. [email protected] : News Editir : News Editir
সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের বাসা থেকে ছোট বোন স্বর্ন অলংকার টাকা নিয়ে উধাও

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

মোঃ আলাউদ্দিন লিংকন :- নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার চাঁদ পুর গ্রামের তেলিপুকুর সংলগ্ন ভূঞা বাড়ীর জালাল আহমদের ছোট বোন পারভীন আক্তার কে নুর নবীর কাছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়,আমি জালাল আহমেদ বড় ভাই হিসেবে বোনের সকল ধরনের আবদার পূরণ করার জন্যে চেষ্টা করি। তারই সুবাদে ছোট বোন পারভীন আক্তার চট্টগ্রামে এনায়েত বাজার আমার ভাড়া বাসায় আসে ছোট বোন পারভীন আক্তার বোনের বর নুর নবী, বোনের ছেলে ফারুক ও ফরহাদ ফিরোজ সবাই পারভীন আক্তারের চক্ষু চিকিৎসা করানোর জন্যে গত ২৮ শে জুলাই শুক্রবার তার বড় ভাই জালাল আহমেদ এর বাসায় যায়। সেখানে প্রায় ১১ দিন যাবত অবস্থান করেন এবং সেখানে চক্ষু চিকিৎসা করায়, তারা হলেন জালাল আহমেদের ছোট বোন , ভগ্নিপতি এবং ভাগ্নে এই সুবাদে তাহাদের প্রতি বড় ভাই জালাল আহমেদ কোন সন্দেহ ও আশাংকা ছিলোনা। গত ০৯ ই আগস্ট রোজ বুধবার জালাল আহমেদ এর অজান্তে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ফুশলিয়ে বিভিন্ন কলা কৌশলে তার ঘর থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং সাত ভরি স্বর্ন অলংকার সহ তাদের গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হয়, মেয়ে ও কোচিং সেন্টারের যাওয়ার নাম বলে ঘর থেকে বের হয়ে আসে এদের সাথে এক হয়ে গ্রামের বাড়ীতে নোয়াখালী সেনবাগে বোনের সাথে তার বাড়ীতে চলে যায়, এরপর দুপুর ১২ টার সময় বাসায় ফিরার কথা বাসায় না ফিরায়, আমি কোচিং সেন্টার যাই। কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকায় আমি দিশা হারায় হয়ে যায়। আমি মেয়ের বান্ধবীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন সেই আজকে পড়তে কোচিং সেন্টারে আসে নাই। আমি দিশা হারা হয়ে চারদিকে খোজা খুঁজি শুরু করি। আমার ছোট বোন কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা বলেন কান্নার অভিনয় করে বলে তাদের সাথে আসে নাই , আমি খোজা খুঁজি চলমান রাখি এক পর্যায়ে ১০ শে আগস্ট বৃহস্পতি বার কোতয়ালি থানায় জিডি করি জিডি নং-১০১৬। আমি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মাহবুবের এর সাথে
যোগাযোগ করলে ঐ শিক্ষক তার ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের উদ্দেশ্য গ্রুপে মেসেজ দেয় সুরাইয়া জাহান কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । তার পিতা মাতা খুবই চিন্তিত ও কান্না কাটির মধ্যে আছে। তোমরা কেউ সুরাইয়া জাহান এর সন্ধান ফেলে অতি তাড়া তাড়ি আমার মুঠো ফোনে জানাও, তখন ঐদিনে কিছু সময় পর নাম প্রকাশের অনিচ্চুক এক ছাত্রী বলেন তার কোচিং সেন্টারের শিক্ষক কে বলেন স্যার তার পিতা মাতা কে বলেন সেই চট্টগ্রামে নাই। তাদেরকে গ্রামের বাড়ীতে খুঁজতে বলেন। তাৎক্ষণিক ভাবে আমি নিশ্চিত হই আমার বোন ও ভাগ্নে সহ চক্রান্ত করে নিয়ে আসে আমি তখন চট্টগ্রাম থেকে সেনবাগে উদ্যেশে রওনা হই এবং বোনের বরের বাড়ী চাঁদপুর তেলিপুকুর সংলগ্ন ভূঞা বাড়ীতে যাই, তখন দেখি তাদের ঘরে দরজা তালা ঝুলানো তখন তাদের ঘরের দরজার সামনে মুঠোফোনে কল করলে সেই বলে তার ছেলেদের কে খুঁজে পাচ্ছে না। এবং তাদের মোবাইল নাম্বার বন্ধ আমি বোনকে বলি কোথায় তুমি আমার সাথে দেখা কর বোন তখন বাড়িতে আসে এদিকে জিডির সূত্র ধরে সেনবাগ থানার পুলিশের সহযোগিতা চাই। তখন সেনবাগ থানায় পুলিশ কর্মকর্তা রঞ্জিত এর নেতৃত্বে উনিসহ এদের বাড়ীতে যাই তখন বোন কান্নার অভিনয় করে বলে আমিও তো আমার ছেলেদেরকে পাচ্ছি না। তখন পুলিশ এবং বাড়ীর লোকজন সহ বোন ও বোনের বর কে বলেন আজ সন্ধ্যার ভিতরে তোমার ছেলে দেরকে হাজির কর এবং ঘটনা কি হয়েছে আমরা দেখবো এরপর তারা ছেলেদের খুঁজার নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর মেয়ের বাবা ৪ নং কাদরা ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের স্বপন মেম্বার কে এই বিষয় জানালে মেম্বার বাড়ীর লোকজন সহ এদের পুরো পরিবার কে খোজার চেষ্টা চালায়, কিন্তু কোনো খবর পাই নাই। এদিকে মেয়ের বাবা ৪ নং কাদরা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন ভূঞা বরাবরে তার স্বর্ন অলংকার টাকাসহ মেয়েকে অপহরণ করছে আশাংকা মনে করে একটা মামলা দায়িল করেন। যাহার মামলার নং – ৬৪/২০২৩। জালাল আহমেদ সেনবাগ উপজেলার প্রেসক্লাবকে জানান তারা সংঘবদ্ধ ভাবে টাকা পয়সা চুরি এবং মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে এদেরকে ধরিয়ে দিন। প্রশাসনের সহযোগিতা চায়,এই দিকে মেয়ের বাবা মেয়ের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করতে না পারায় মেয়ের বড় ধরনের খতি হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে বলে মনে করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews