1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কায়েস আরজু-শিরিন শিলা “গবেট” আজ থেকে সড়ক বন্ধ করে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে ফেসে যাচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, হারাতে পারেন চাকরি সালমান রাজের ‘বধুরে’ গানে হান্নান শাহ-এস কে মাহি সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবে সদস্যদের সাথে ঢাকার বার্তার চেয়ারম্যানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী সেঁজুতি খন্দকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগী জাকির হোসেন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩ অনুমতি ছাড়াই বিদেশে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘তুফান’ ফ্রান্সে সম্মাননা পেলেন তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা বিএনপি-আ.লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি আজ

ঢাকার বাইরে ভয়াবহ লোডশেডিং বিদ্যুতের উৎপাদন কমছে, বাড়ছে ব্যয়

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

খান মেহেদী :- প্রয়োজনীয় জ্বালানির (গ্যাস, তেল ও কয়লা) অভাবে অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ওইসব কেন্দ্রকে নিয়মিত ভাড়া (ক্যাপাসিটি চার্জ) পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর ফলে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গেলেও বেড়েছে ব্যয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ায় সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারের স্পট মার্কেটে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ আগের তুলনায় বেড়েছে। এ ছাড়া গত অর্থবছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার দামও ছিল বেশি। এর প্রভাবও দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে পড়েছে।

এদিকে, নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে না পারায় অনেক ক্ষেত্রে জরিমানাও গুনতে হচ্ছে সরকারকে। বিশেষ করে মার্কিন ডলার সংকটের কারণে বেসরকারি খাতের বিল পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। বিল না পাওয়ার কারণে কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় বেসরকারি খাতের উৎপাদনও কমে গেছে। ফলে রাজধানীর বাইরে লোডশেডিং ক্রমেই বাড়ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন কালবেলাকে বলেন, বিদ্যুৎ খাতের বকেয়ার পরিমাণ অনেক। ডলার সংকটের জন্য এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি কিনতে না পারলে এটা বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যয়ের ওপর প্রভাব পড়বেই। এ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন কমেছে। এর পরিমাণ সাড়ে ৩ শতাংশ। এর বিপরীতে জ্বালানি ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ২৫ শতাংশের বেশি। চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) জ্বালানি ব্যয় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন পিডিবির কর্মকর্তারা। পিডিবি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানিসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৩৯৩ কোটি ৩৩ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আর বিদায়ী অর্থবছর (২০২২-২৩) বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ১০১ কোটি ১৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা।

উৎপাদন কমেছে ২৯২ কোটি ১৪ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা বা ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউনিট প্রতি উৎপাদন গড় ব্যয় ছিল ৮ টাকা ৮৪ পয়সা, যা বিদায়ী অর্থবছরে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউনিটপ্রতি গড় ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১১ টাকা ৮ পয়সা। এই হিসাবে গড় ব্যয় বেড়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা।

অন্যদিকে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের হিসাবে তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছর সরকারি কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ৪১ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। বিদায়ী অর্থবছর (২০২২-২৩) এর পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ২৭৭ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা। সরকারি কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদন কমেছে ২০ শতাংশের বেশি। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে (ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার-আইপিপি) ২০২২-২৩ অর্থবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ২৯ কোটি ৯৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। তার আগের অর্থবছর (২০২১-২২)-এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ৪ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ বেসরকারি খাতে উৎপাদন কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। তবে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোয় বিদায়ী অর্থবছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২৮৯ কোটি ১৯ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। ২০২১-২২ অর্থবছর যা ছিল ২৮৬ কোটি ৬৩ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। এই হিসাবে রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বেড়েছে।

পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল ৭৭১ কোটি ২১ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আদানির বিদ্যুৎ যুক্ত হওয়ায় বিদায়ী অর্থবছর আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি ৭৩ লাখ কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বেড়েছে প্রায় ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছর ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির গড় ব্যয় ছিল ৬ টাকা ৬ পয়সা। গত অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ গড় ব্যয় বেড়েছে ৪৪ দশমিক ২২ শতাংশ।

সরকারি কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কমলেও বেড়েছে ব্যয়। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছর সরকারি খাতের উৎপাদন ব্যয় সবচেয়ে বেশি। সরকারি কেন্দ্রগুলোর ২০২১-২২ অর্থবছর গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ৪ টাকা ৭৫ পয়সা। গত অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৯৬ পয়সা। গড় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মূলত ফার্নেস অয়েলনির্ভর কেন্দ্রগুলো চালানোর কারণে গড় ব্যয় বেড়েছে। আর বেসরকারি খাতের বড় কেন্দ্র তথা আইপিপিগুলোয় গত অর্থবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ২৬ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছর এ কেন্দ্রগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ছিল ১১ টাকা ৫৫ পয়সা। গত অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬১ পয়সা। রেন্টাল কেন্দ্রগুলোয় গত অর্থবছর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছর এ কেন্দ্রগুলোয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ছিল ৯ টাকা ৭৩ পয়সা। গত অর্থবছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ছয় পয়সা।

সরকারের কাছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো (আইপিপি) পাবে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া রয়েছে পাঁচ মাসের, যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। ভারতের আদানি পাওয়ারের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) পাবে ৭ হাজার কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews