নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনসী গ্রামে সংখ্যালগু পরিবারের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার, এ সময় প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে দল মতনির্বিশেষে এলাকাবাসী ও সমাজের সকল শ্রেণী পেশার জনগণ অংশ নেন।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ১০টার দিকে বরিশাল- পটুয়াখালী মহাসড়কে বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজ সামনে হিন্দু পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয় ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বাকেরগঞ্জ , উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুনীল কুমার দাস,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পংকজ দাস উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর কুমার শীল সাধারণ সম্পাদক অমল চন্দ্র দাস শিবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেনের, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসিউর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি আল আমিন মিরাজ, রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন সিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোকলেছুর রহমান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মানিক হাওলাদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মিত্র, কাউন্সিলর সুজন দেবনাথ, কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান রিপন, নারী কাউন্সিলর অঞ্জু রানী, সরকারি কলেজের সাধারণ সম্পাদক তুষার দেবনাথ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাওসার হাওলাদার, প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রুনসী গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন দেবনাথের বসত বাড়িতে আগুনের ঘটনা একটি পরিকল্পিত স্বরযন্ত্র। চিহ্নিত মহল জমাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঘটনা ঘটিয়ে সটকে পড়ে।
মানববন্ধনে বক্তারা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট নিরঞ্জন দেবনাথের বসত বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায়, বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের নিরাবতা প্রশ্নবিদ্ধর জন্ম সৃষ্টি করেছে, ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলেও তাদের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে কোনো পদক্ষেপ। বক্তারা আরো বলেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সংখ্যালঘু নির্যাতন কারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নিরঞ্জন দেবনাথ বলেন, ‘গত রবিবার মধ্যরাতে আমাদের বসত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাকেরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অল্পের জন্য আমাদের নতুন বসতঘর ও আমরা প্রানে বেঁচে গেছি।’
এমনকি আজকে আমি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে আসার সময় বাঁধার মুখে পরতে হয়েছে। এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই ।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার কিছু লোক আমাদের উচ্ছেদে বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর আগেও বসতঘর সহ জম দখল নেয়ার চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি প্রশাসন ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
Leave a Reply