লঞ্চের আগুনে দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি হবে না। দগ্ধদের যারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাদের জন্যও ঢাকা থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ঝালকাঠির লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মালদ্বীপ সফরে ছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালদ্বীপ থেকে সরাসরি হাসপাতালে এসেছি।
তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহত ৮১ জন বরিশালে ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যারা ঢাকায় এসেছে, তাদের সবাই সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে।
জাহিদ মালেক বলেন, সারা দেশে বিভিন্নভাবে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি চিন্তা করে দুই সপ্তাহ আগে একনেক সভায় একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। সেটি হচ্ছে দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে পাঁচটিতে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বার্ন ইনস্টিটিউট করা হবে। পরবর্তীতে আরো দুই বিভাগে দুটি ইনস্টিটিউট করা হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লঞ্চ থেকে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর দগ্ধ কমপক্ষে ৯০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।