1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

গুলশান-বনানীর বিভিন্ন বারে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ

  • আপডেট সময় সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪

মাসুদ রানা,সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টারঃ রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া নামে পরিচিত গুলশান ও বনানী।এই এলাকাগুলোতে রয়েছে অভিজাত মানের পাঁচ তারকা হোটেলসহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ও বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।

বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিণত হয়েছে মিনি বারে।কিন্তু এসব অপরাধ দমনে যাদের এগিয়ে আসার কথা তারা একরকম নির্বিকার। শুধু মাসোয়ারা তোলার জন্য হোটেলগুলোর তালিকা করেই দায়িত্ব শেষ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তালিকা ধরে ৪০টি হোটেল থেকে প্রতি মাসে এ চক্রের অলিখিত ঘুষের পরিমাণ অন্তত অর্ধ কোটি টাকা। আর এতে সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে।এক মাসের বেশি সময় ধরে সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় বার গুলো রাত ১০ টা পযর্ন্ত খোলা রাখা ও লাইসেন্স ধারীদের ভিতরে ঢুকার পারমিশন দেওয়া থাকলে ও মানছেন না কেউ।

তারাই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার (২৮) জানুয়ারি রাত অনুমান ১১.৩০ মিনিটের সময় রাজধানীর গুলশানের কিং ফিসার বার,কোয়ালিটি ইন,লা-ডিপ্লোমেন্ট রেস্টুরেন্ট এন্ড বার,বনানীর ফেন্ডস কমিউনিটি ক্লাব,সুইট ড্রিম হোটেল বার,বনানী ২৩ নম্বর রোডের মি লাউঞ্জ, বনানীর ফ্লোর সিক্স,হুক্কা লাউঞ্জ,বনানী ১১ নম্বর রোডের মিন্ট রেস্টুরেন্ট,ডু মি রেস্টুরেন্ট, পেং ইয়াং রেস্টুরেন্ট এন্ড বারসহ বেশ কয়েকটি বারে অভিযান পরিচালনা করেছেন সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)গুলশান বিভাগের সাম্প্রতিক সময়ে যোগদানকৃত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম এর নির্দেশ ক্রমে ঐসকল বার গুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন গুলশান বনানীর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)গুলশান বিভাগের নতুন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হলেন রিফাত রহমান শামীম বলেন,রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া নামে পরিচিত গুলশান ও বনানী,এই এলাকায় অসংখ্য বিদেশী মেহমানসহ দেশের অনেক এলিট শ্রেনীর গৌন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সু-নাগরিক বসবাস করেন।আবাসিক এলাকায় সব কিছু নিয়মের মধ্য থাকতে হয়,ইতিমধ্য আমরা লক্ষ্য করলাম বিভিন্ন বার গুলো সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে তাদের বার পরিচালনা করে আসছে।তাই আমরা বিদেশী মেহমান ও দেশের গৌন্যমান্য নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিশেষ অভিযান টি পরিচালনা করেছি।বার কর্তৃপক্ষদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যাতে করে সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় না গড়ে।জরিমানা না করে ১ম বার সাধারন ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে বলে ও জানান তিনি।গতকালের অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে আমরা কাউকে আটক করিনি ।

তিনি আরো জানান আমি যোগদানের কয়েকদিন পরে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি যে গুলশান বনানীর বিভিন্ন স্পা সেন্টারগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ হয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ফেসবুক পেজে স্পন্সর বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের প্রচারণা করে থাকে।এমন তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি স্পা সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে স্পা সেন্টারের মালিকসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে ও ফেরন করেছি।

এছাড়া গুলশানের মতো একটি অভিজাত এলাকায় বার এ স্পা গুলো পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কে বা কারা জড়িত তাও পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি)মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান টি পরিচালিত হয়।উক্ত অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাহান হক সহ সংশ্লিষ্ট থানা অফিসার ফোর্সগণ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews