1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম: তাবরিজ যাচ্ছেন শীর্ষ কর্তারা এটিএন বাংলার চায়ের চুমুকে সংগঠক ও বিনোদন সাংবাদিক আবুল হোসেন মজুমদার হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যক্তি সদস্যপদ ফেরত পেয়ে জায়েদ খান বললেন ‘সত্যের জয় হয়েছে’ বাচসাস’র সদস্যপদ নবায়নের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের প্রকাশ্য এলো নিরব-রিফাতের ‘অবুঝ মনের প্রেম’ ২৪ মে মুক্তি পাচ্ছে নিরব-স্পর্শিয়ার ‘সুস্বাগতম’ সমাজকর্মী থেকে রাজনীতির মাঠে সাহিদা, করতে চান মেহনতী মানুষের সেবা

শিল্পীরা কেন ডিপজলের প্যানেলের দিকে ছুটছে

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

আগামী এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল প্যানেল নির্বাচন করবে। এছাড়া আর কোনো প্যানেলের কথা শোনা যাচ্ছে না। গত বছরের আলোচিত-সমালোচিত ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের প্যানেল কমিটি গঠন করলেও এ কমিটি পরিণত হয় একজনের কমিটিতে। বলা হয়ে থাকে, নিপুণ নিজেই কমিটি ছিলেন। তার প্যানেলের বাকি সব ছিল কলের পুতুল। নিপুণের একক সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত ছিল। তিনি যেমন খুশি তেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন। কারো মতামত ও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করতেন না। এমনকি অনেক সময় মিটিংয়ে কোরাম ছাড়াই তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে তার উপর কমিটিতে নিজের প্যানেলের লোকজনই চরম বিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে তার প্যানেলের এবং সমিতির বর্তমান সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি নিপুণের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলেন। এরপর থেকে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেন। এর মধ্যে তার প্যানেলের যুগ্ম সম্পাদক সাইমন সাদিক আগেই পদত্যাগ করেছেন, সম্প্রতি নিপুণের প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরও নিপুণের একক সিদ্ধান্তের কারণে কাজ করতে না পেরে তার কাছ থেকে সরে গেছেন। অভিনেতা নানা শাহ, ডি এ তায়েব, ফাইট ডিরেক্টর আরমানসহ যেসব শিল্পী গত বছর নিপুণের প্যানেলের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বা প্রাণ হিসেবে কাজ করেছিলেন, তারা একে একে সবাই তার কাছ থেকে সরে গেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, সদস্যদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা এবং নিপুণের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত। নিপুণ নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এফডিসিতে নিয়ে আসবেন, ৬টি সিনেমা নির্মাণ করে বেকার সদস্যদের কাজের ব্যবস্থা করবেন, এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এর কোনোটিই তিনি করেননি। উল্টো নিজের স্বার্থে নানাভাবে সমিতিকে ব্যবহার করেছেন। স্বেচ্ছাচারের ভূমিকা পালন করেছেন। নিপুণের সার্বিক কর্মকান্ডে সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যেমন বিরক্ত, তেমনি তার প্যানেলের হয়ে যারা নির্বাচন করেছিলেন তারাও বিরক্ত। এমনকি নিপুণের ভোট ব্যাংক হিসেবে যে ১৪৩ জন সদস্যকে ধরা হয়, তারাও বিরক্ত হয়ে নিপুণের কাছ থেকে সরে গেছেন। এখন নিপুণের এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে, প্যানেল দেয়ার জন্য কোনো সভাপতি প্রার্থীই পাচ্ছেন না। একবার ফেরদৌস, একবার শাকিব খান, একবার অনন্ত জলিলের কাছে গিয়েও তাদের রাজী করাতে পারেননি। তারা মুখে সময় দিতে পারবেন না বললেও নেপথ্যের কারণ হচ্ছে, নিপুণের চলমান বিতর্কিত কর্মকান্ডে বিরক্ত হয়ে মানসম্মান খোয়ানোর ভয়ে সভাপতি প্রার্থী হতে রাজী হননি বলে তাদের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা যায়। ফলে আগামী নির্বাচন নিপুণ কিভাবে করবেন, তাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। নিপুণ প্যানেল করবেন কি, এখন পর্যন্ত সভাপতি প্রার্থীই খুঁজে পাননি। তারপর প্যানেলের অন্যান্য পদে প্রার্থী দেবেন। দেখা যাচ্ছে, সেসব পদেও যোগ্য কোনো প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না। তাহলে প্রশ্ন জাগে, নিপুণের আগের প্যানেলের প্রার্থীরা কি নির্বাচন করবেন না? করলেও তারা কোন প্যানেল থেকে করবেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগই এখন মিশা-ডিপজল প্যানেলের দিকে ছুটছেন। মূলত মুভিলর্ডখ্যাত ডিপজলের কারণেই তারা এই প্যানেলের দিকে ঝুঁকেছেন। ইতোমধ্যে নিপুণের প্যানেলের নানা শাহ, ডি এ তায়েব, আরমান, শাহনূরসহ আরও অনেকে ডিপজলের প্যানেলের দিকে চলে গেছেন। তারা ডিপজলের প্যানেলে নির্বাচন করেন বা না করেন, তার সঙ্গে থাকার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। তারা মনে করেন, সমিতি ও ইন্ডাস্ট্রির জন্য কিছু করতে পারলে ডিপজলই করতে পারবে। এর প্রমাণ তিনি বহুবার দিয়েছেন। সারা বছরই যেমন সদস্যদের সুখে-দুঃখে থাকেন, তেমনি সিনেমাও নির্মাণ করেন। তিনি একজন সিনেমা অন্ত:প্রাণ মানুষ। ইন্ডাস্ট্রি থেকে তিনি নিতে আসেন না, দিতে আসেন। এদিকে, ডিপজলের প্যানেল ঘোষণার পর পুরো শিল্পী সমাজই যেন এই প্যানেলের দিকে ঝুকে পড়েছে। সিনিয়র থেকে শুরু করে জুনিয়র ও তৃণমূল পর্যায়ের শিল্পীরা ডিপজলের প্যানেল নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে। তারা মনে করছেন, এই প্যানেল বিশেষ করে ডিপজলই পারবে সদস্যদের কল্যাণে কাজ করে সমিতিকে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে। অতীতেও তিনি সাধারণ সম্পাদক হয়ে সমিতির সদস্যদের কল্যাণ করেছেন। এদিকে, এফডিসিতে প্রথম রোজা থেকেই ডিপজল নিজ উদ্যোগে মাসব্যাপী ইফতারের আয়োজন করেছেন। প্রতিদিন ইফতারে চলচ্চিত্রের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করছে। ইফতারের সময় এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একই টেবিলে শিল্পী ও কলাকুশলীরা বসে ইফতার করার এক অপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। সন্ধ্যার পর যে এফডিসি অন্ধকার ও ভুতুড়ে পরিবেশে পরিণত হয়, সে এফডিসি এখন আলোকিত ও শিল্পী-কলাকুশলীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই এফডিসিতে সিনিয়র শিল্পীরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে ইফতারে অংশগ্রহণ করছেন। ডিপজল নিজেও উপস্থিত থেকে সবার সাথে কুশল বিনিময় করছেন। অনেকে মনে করছেন, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে ডিপজল শিল্পীদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করেছেন। এই ঐক্যর দিকে সব শিল্পীরাই ঝুঁকছেন। অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিপজল এই আয়োজন করেছেন। এটা ঠিক, তবে শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিপজলের এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজন পড়ে না। সারাবছরই তিনি তাদের পাশে থাকেন, তাদের সাথে যোগাযোগ থাকে। তিনি এ আয়োজন করেছেন, যাতে ইফতার উপলক্ষে প্রতিদিন সবার সাথে সবার দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তা হয়। একটা মিলনমেলা হয়। এদিকে, প্যানেল সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিপজল বলেন, এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, একেক পদে অনেক যোগ্য প্রার্থী হয়ে গেছে। কাকে রেখে কাকে প্রার্থী করা হবে, এ নিয়ে এক মধুর সমস্যায় আছি। তবে আমরা সবাই মনে করি, প্রার্থী হওয়া বড় কথা নয়, আমরা একসাথে একজোট হয়ে নির্বাচন করব শিল্পীদের কল্যাণের জন্য। সমিতির মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য। সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে যিনি যে পদে যোগ্য তাকে সে পদে প্রার্থী করা হবে এবং যারা প্রার্থী হবেন না, তারা সকলেই আমাদের প্যানেলের জন্য কাজ করবেন। আমাদের সাথে এখন শিল্পীরা শুধু নির্বাচন করার জন্য যুক্ত হচ্ছেন না, তারা আমাদের প্যানেলের মাধ্যমে ভাল কিছু হবে, এ আশা নিয়ে আসছেন। ডিপজল বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন নয়, ঐক্য সৃষ্টি করা। মিলমহব্বতের মাধ্যমে এক পরিবার হয়ে থাকা। তিনি বলেন, বিগত দুই বছরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিল্পীদের যে বদনাম হয়েছে, মর্যাদাহানি হয়েছে, আমরা নির্বাচিত হলে তা ফিরিয়ে এনে শিল্পীদের মর্যাদার আসনে উন্নীত করব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews