1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
জন্মদিনের কেক নয়, হাজার অসহায় মানুষকে খাবার স্যালাইন ও ৫ শতাদিক গাছের চারা রোপন করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অশ্রু ভূইয়া প্রচন্ডতাপদাহে সিদ্ধেশ্বরী কলেজ ছাত্রলীগের রাস্তায় বিনামূল্যে শরবত বিতরণ ডিএমপি বাড্ডা থানার উদ্যোগে পথচারী’দের মাঝে সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরন নোয়াখালীতে বিমানবন্দরের দাবীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন হিট স্ট্রোক এড়াতে যেসব পরামর্শ দিলেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শেয়ারবাজার কারসাজিকারি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার নতুন ধারাবাহিকে তানিন সুবহা দুঃখপ্রকাশ করে রুবেল বললেন ‘আমি মারামারিতে ছিলাম না’ ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে বড় চমক দিল ‘লিপস্টিক’ তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে আজ

বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোরগ্যাং এর ২০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

সিনিয়র রিপোর্টারঃ বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ‘কিশোর গ্যাং’ গ্রুপের সদস্য কর্তৃক ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিশোর গ্যাং বা গ্যাং কালচার উঠতি বয়সী ছেলেদের মাঝে ক্ষমতা বিস্তারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। এসকল গ্যাংসমূহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সংঘর্ষ সমাজে ব্যাপক মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। গ্যাংসমূহের পারস্পরিক মারামারি, ক্ষমতা জাহির করতে প্রকাশ্য অস্ত্রের ব্যবহার, মাদক সেবন, যত্রতত্র ছিনতাই, প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান প্রভৃতি সমাজে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। এমন ঘটনায় কেউ কোন প্রতিবাদ করলে অনেক সময় খুন করতেও এরা দ্বিধাবোধ করেনা। রাস্তাঘাটে নারীদের ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানি এসকল সদস্যদের নিত্যনৈমিত্তিক কর্ম।

এছাড়াও তারা বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং এর মাধ্যমে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে এবং নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। এ সকল সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরী ও মামলা রুজু হয়। অতি সম্প্রতি রাজধানীর কদমতলী, হাতিরঝিল ও এর আশেপাশের এলাকায় কিশোরগ্যাং কর্তৃক বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র‍্যাব-৩। ফলশ্রুতিতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।

র‍্যাব-৩ এর বিশেষ অভিযানে রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ত্রাস সৃষ্টিকারী কিশোর গ্যাং এর লীডারসহ গ্রেফতার ২০ এর গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজধানীর কদমতলী ও হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় কতিপয় কিশোর গ্যাং এর কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের নামে পেশীশক্তি প্রদর্শন করে আসছে। তারা মাদক সেবন, সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল চালিয়ে বিকট শব্দ করে জনমনে ভীতির সঞ্চার, স্কুল-কলেজে বুলিং, র‌্যাগিং, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদক সেবন, অস্ত্র প্রদর্শন এবং অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে লিপ্ত, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিত ক্ষতির মুখে ধাবিত করছে। এরই প্রেক্ষিতে কিশোর গ্যাং এর বিপথগামী সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-৩ সাস্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা নজরদারী আরও বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ ১৯০০ হতে ২২০০ ঘটিকা পর্যন্ত র‍্যাব-৩ এর পৃথক পৃথক আভিযানিক দল রাজধানীর কদমতলী ও হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগ্যাং ‘ফয়েজ-আরাফাত’ গ্রুপের ৭ জন, ‘সিয়াম’ গ্রুপের ৪ জন, ‘অনিক’ গ্রুপের ৪ জন এবং ‘কুনিপাড়া স্কোয়াড’ গ্রুপের ৫ জন সহ সর্বমোট ২০ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত কিশোরগ্যাং সদস্যরা হলো মোঃ ইয়াসিন আরাফাত,রাশেদ হাজারী (২২)মোঃ রাসেল ইসলাম (১৯), মোঃ তামিম মিয়া (২০)রাতুল হাসান (১৮)মমিনুল ইসলাম হৃদয় (২১)মোঃ রাকিব (২০)সাইফুল ইসলাম সিয়াম (১৯)আশিকুল ইসলাম স্বাধীন (১৯)সহ মোট ২০ সক্রিয় সদস্য’কে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩।

গ্রেফতারকালে তাদের নিকট হতে ১টি চাপাতি, ১টি ছুরি,১ টি শাবল,৩ টি ছোরা, ১টি হাসুয়া, ৪টি চাকু, ২টি ক্ষুর, ২টি হেক্সোব্লেড, ২৫ পুরিয়া গাঁজা, ৬টি মোবাইল এবং চাঁদা উত্তোলনের নগদ ৪৫৪০/- উদ্ধার করা হয়।

দুপুরে র‍্যাব-৩ প্রধান কার্যালয়ে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,গ্রেফতারকৃতরা রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকায় ফয়েজ-আরাফাত কিশোরগ্যাং গ্রুপে প্রায় ১৫-২০ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। ফয়েজ-আরাফাত গ্রুপটি সন্ত্রাসী মোঃ ইয়াসিন আরাফাত ও তার ফুফাতো ভাই ফয়েজের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবৎ পরিচালিত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে এই গ্রুপের অন্যতম মূলহোতা আরাফাত উক্ত অভিযানে গ্রেফতার হয় এবং ফয়েজ বর্তমানে রিহাব সেন্টারে আছে। গ্রেফতারকৃত ফয়েজ-আরাফাত গ্রুপের সদস্যরা রাজধানীর শ্যামপুর ও কদমতলী এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং,মারধর, ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত।

এছাড়াও হাতিরঝিল এলাকায় সিয়াম এবং অনিক গ্রুপ দুইটি দীর্ঘদিন যাবৎ সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম সিয়াম এবং হাসান আহমেদ অনিক এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে। এরা রাজধানীর হাতিরঝিল এবং এর আশেপাশের এলাকায় সাইলেন্সারবিহীন মোটরসাইকেল দ্বারা বিকট শব্দ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো।

এই গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যেতো। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাতিরঝিল এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এছাড়াও তারা মাদক সেবনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল।

তিনি আরো বলেন রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা হতে গ্রেফতারকৃত কুনিপাড়া স্কোয়াড গ্রুপটি হাতিরঝিল ও এর আশপাশের এলাকায় ধৃত মূলহোতা রনিউজ্জামানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে। মূলহোতা রনিউজ্জামান অনলাইনভিত্তিক অবৈধ বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। টেলিগ্রামে নোটকয়েন নামক ফিচার ব্যবহার করে বিটকয়েনের মাধমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা অনলাইন জুয়ারিদের সঙ্গে জুয়া খেলতো। এ গ্রুপের সদস্যরা উক্ত এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন মানুষকে হুমকি, মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম করে আসছে। এছাড়াও তারা রনিউজ্জামানের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews