নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ :- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় দুধল ইউনিয়নের সরশি সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সড়ক নির্মাণের এক মাসের মধ্যে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বরাদ্দে সড়কটি নির্মাণ কাজ পায় আকন এন্টারপ্রাইজ। তারা সড়কটি বিক্রি করে দেয় ঠিকাদার মনিরের কাছে। গত জুন মাসের শেষের দিকে ঠিকাদার মনির সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
এলাকাবাসী জানায়, সরশি দেড় কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই উঠে গেছে পিচ ও পাথর। আর হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে সড়কের পিচ ঢালাই ও পাথর। যানবাহনের চাকা ও পথচারীদের পায়ে পায়ে সড়কের পিচ ঢালাই আর পাথর উঠে গিয়ে বৃষ্টিতে কাদামাটির সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
এসব অভিযোগ তদন্ত করে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের ও সহকারী প্রকৌশলী রফিক সহ ঠিকাদার মনিরের বিরুদ্বে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে দুধল ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীরা ওই সড়কে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই সঙ্গে সড়কটি আবারও সংস্কার করার দাবি তুলেন তারা।
এক মাস আগে শেষ হয়েছে দুধল সরশি হতে চাটরা দেড় ঘকিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ। কিন্তু এক মাসের মধ্যে হাত দিয়ে উঠানো যাচ্ছে সেই সড়কের পিচ ঢালাই আর পাথর।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ আরো জানায়, নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কের পিচ ও পাথর উঠে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। নিয়ম অনুযায়ী কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে কোরবানীর ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে গাছের পাতা ও ময়লার ওপরই নিম্মমানের বিটুমিন দিয়ে ঢালাই দিয়েছেন ঠিকাদার মনির। নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরে বসে যায়। তখনি সড়কের পিচ কম দেয়ার কারনে ঢালাই উঠে যেতে শুরু করে। বিষয়টি থানা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের মিয়াকে বারবার জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এমনকি ঢালাই দেয়ার সময় এলজিইডি অফিসের কোন প্রতিনিধি তখন সড়ক দেখতে আসেনি। তখন ঠিকাদার দায়সারাভাবে সড়কটি নির্মাণ করেন। অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা সহ মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান শরীফ।
এদিকে, অভিযোগ স্বীকার করে করে ঠিকাদার মনির জানান, সড়কটি ঢালাই এর সময় বিটুমিনে বেশি তাপ দেওয়া হয়েছে আর এ কারণেই রাস্তা পিচ ও পাথর উঠে যাচ্ছে। এখন আবার নতুন করে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ঢালাই দিতে আমার দেড় লাখ টাকা খরচ হবে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া জানান, সড়কটি নির্মাণে ঠিকাদার নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করেছে। তবে ঠিকাদার সড়কটি সংস্কার করে দিবেন।
Leave a Reply