সময় এক্সপ্রেস নিউজ ডেক্স:- বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের স্হায়ী বাসিন্দা মোসা: সিমা আক্তারের কন্যা সেফার সাথে প্রবাসী ফরিদের সাথে গত কয়েক বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রবাসী ফরিদ প্রবাসে থাকার সুবাদে তার স্ত্রী সেফা কে তার বাবা মার বাড়ি বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে রাখেন সেখানে তিনি তার স্ত্রী কে ভরনপোষণের জন্য টাকা পয়সা সহ সকল ধরনের খরচ বহন করতেন। প্রবাসী ফরিদ বিদেশে থাকার সুযোগে চাচাতো ভাই বাকেরগঞ্জ রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন এর যোগসাজশে প্রতারণা করে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন স্ত্রী সেফা। প্রবাসী ফরিদ বিদেশে থাকার সুযোগে স্ত্রী সেফার চাচাতো ভাই ছাত্রদলের সভাপতি শাওন বিভিন্ন সময় প্রবাসীর স্ত্রী সেফা তাকে ঘুরতে নিতে যায়। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সভাপতি শাওন পরোকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে প্রবাসী স্ত্রী সেফার সাথে। গত কয়েকদিন পূর্বে সেফার মা মোসাঃ সিমা বেগম সেফাকে সহ পটুয়াখালী বেড়াতে যায়, পটুয়াখালী বেড়াতে যাওয়ার পর সেফার মা সেফাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এই সুযোগে চাচাতো ভাই ছাত্রদলের সভাপতি শাওন প্রবাসীর স্ত্রী সেফা কে নিয়ে পালিয়ে যায় । পরর্বতীতে সেফার মা সিমা সেফাকে বাসায় না পেয়ে বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুজি করেন। এক পর্যায়ে মেয়ে কে ভাগিয়ে নেওয়া ছদ্মবেশি শাওন কে সাথে নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি করেন। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ সেফার ব্যবহত মোবাইল ফোন ও সিমের সিডি সংগ্রহ করে তাতে চাচাতো ভাই ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করে শাওনের পরিবার কে সেফা কে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পুলিশ শাওনের ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করতে পারায় ছাত্রদল সভাপতি শাওন পালিয়ে যায়। ঘটনার অন্তরালে ঘটনা চাপিয়ে বড় নাটকের প্রয়াস চালান প্রবাসী শাশুড়ী সিমা ও প্রবাসীর স্ত্রী কে পালিয়ে নিয়ে যাওয়া ভাসুরের ছেলে শাওন। ঘটনার সত্যতার জন্য প্রবাসী ফরিদের শাশুড়ী মোসাঃ সিমার সাথে কথা বললে তিনি জানান তার মেয়ে কয়েদিন যাবত বাসায় না ফেরায় বিভিন্ন যায়গায় খোঁজা খুজি করে না পেয়ে পরবর্তী সময়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় পুলিশে তৎপরতায় সিমা বেগম জানতে পারে তার মেয়ে রঙ্গশ্রী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওনের সাথে আছে। তিনি শাওনের বাবা মার সাথে কথা বলে জানতে পারে তার মেয়ে সেফা ভালোই আছে কোন চিন্তা করতে না করছে। প্রতারণার মূল নায়ক শাওনের কাছ থেকে প্রবাসী স্ত্রী সেফা কে ফিরিয়ে আনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা আগ থেকেই বিদেশি ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইনি এক পর্যায়ে বিয়ে দিয়েছি। এখন যখন আমার মেয়ে শাওনের সাথে গেছে তাকে আর আনার প্রয়োজন মনে করি না। শাওন তো আমাদের আত্নীয় স্বজন। ঘটনার অন্তরালে ঘটনা আস্তে আস্তে বেড়িয়ে আসতে শুরু করলো পরলোভী স্ত্রী ও শাশুড়ী প্রবাসী ফরিদ কে বাকেরগঞ্জ জমি ও বাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে তার শাশুড়ী মোসাঃ সিমা বেগম কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেন। সরেজমিনে দেখা যায় প্রবাসীর শাশুড়ী জমি ও বাড়ি কেনার সুবাদে বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। প্রবাসী ফরিদের এক আত্নীয়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান ফরিদের শাশুড়ী ফরিদের কাছ থেকে বাড়ি ও জমি কেনার জন্য দুই কোটি টাকা এবং বিভিন্ন সময় আত্নীয়তা সম্পর্কে টানে ৩ বড়ি ৩ টা চেইন ৩ বড়ির দুই জোড়া হাতের রুলি সহ হাতের ব্যাজ ও আত্নীয় স্বজন কে দিবে বলে বিভিন্ন সময় স্বর্নের চেইন সহ ৫০ লক্ষ টাকার স্বর্নঅলংকার আত্মসাৎ করেন। এবং জমি ও বাড়ি কিনে দেওয়ার কথা বলে এক কোটি টাকার ওপরে আত্মসাৎ করেন। প্রবাসী ফরিদ এর আত্নীয়ের সাথে কথা বললে তারা জানান প্রবাসী ফরিদের শাশুড়ী ও তার স্ত্রী সহযোগী প্রতারক শাওন কে নিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়ে ফয়দা লোটার জন্য বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে এই ঘটনা ফরিদ শুনে প্রবাসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে প্রবাসী ফরিদ এর ভাই বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Leave a Reply