1. [email protected] : admins :
  2. [email protected] : Kanon Badsha : Kanon Badsha
  3. [email protected] : Nayeem Sajal : Nayeem Sajal
  4. [email protected] : News Editir : News Editir
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম: তাবরিজ যাচ্ছেন শীর্ষ কর্তারা এটিএন বাংলার চায়ের চুমুকে সংগঠক ও বিনোদন সাংবাদিক আবুল হোসেন মজুমদার হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক নামে এক ব্যক্তি সদস্যপদ ফেরত পেয়ে জায়েদ খান বললেন ‘সত্যের জয় হয়েছে’ বাচসাস’র সদস্যপদ নবায়নের আহ্বান বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের প্রকাশ্য এলো নিরব-রিফাতের ‘অবুঝ মনের প্রেম’ ২৪ মে মুক্তি পাচ্ছে নিরব-স্পর্শিয়ার ‘সুস্বাগতম’ সমাজকর্মী থেকে রাজনীতির মাঠে সাহিদা, করতে চান মেহনতী মানুষের সেবা

সংঘাতের দিকে যাচ্ছে রাজনীতি!

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০২৩

খান মেহেদী :- চলতি বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে হতে পারে তফসিল ঘোষণা। এমন অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছে আসছে। দেশের অন্যতম বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার সহযোগীদের আন্দোলন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক চেয়ে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড়। এ নিয়ে দু’দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান থেকে হঠাৎ করেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলে গেছে। দু’পক্ষই একেবারে মুখোমুখি অবস্থানে।

সংঘাতের শুরু রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে। শনিবার (২৯ জুলাই) বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির দিনে একই কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। দুই পক্ষের এমন অবস্থান ও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাতেই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। কিন্তু কর্মসূচি করার বিষয়ে অনড় থাকে বিএনপি। এ অবস্থায় সকাল থেকেই বিএনপির ঘোষণা করা অবস্থান কর্মসূচির এলাকায় জলকামান, সাঁজোয়া যান নিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়। সতর্ক পাহারায় থাকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও।

কিন্তু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্তত পাঁচটি জায়গায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে এ সংঘর্ষ বাধে। বিশেষ করে, রাজধানীর ধোলাইপাড় ও মাতুয়াইল এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সতর্ক পাহারার নামে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে কোনো কোনো জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা করা হয় বেশ কয়েকটি যানবাহন। আগুন দেওয়া হয় কয়েকটি গাড়িতে। বিএনপির সিনিয়র দুই নেতাসহ অনেকেই আহত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ, বিএনপি পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং আগের সহিংস অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। কোনোভাবেই তাদেরকে এমন সহিংস কর্মকাণ্ড করতে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ওপর হামলা চালিয়েছে। বিএনপি কখনই সহিংস রাজনীতি চায় না। যত বাধা আসুক দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠেই থাকব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিএনপি রাজধানীকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছিল। তারা বাস ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। সংঘাতের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদেরই দায়ী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে। অগ্নিসন্ত্রাস তারাই চেয়েছিল এবং করেছে। তারা মোট সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। কয়েকজন পুলিশকে বেধড়ক পিটিয়েছে।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালের দিকেই হাঁটছে। তাদের সেই পুরোনো রূপই দেখা যাচ্ছে। তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদেরও কর্মসূচি থাকবে, আমরা আক্রমণ করতে যাব না। কিন্তু গায়ে পড়ে আসলে তো ছাড় দেব না।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।

এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ একযোগে হামলা চালাচ্ছে। তারা সিনিয়র নেতাদেরও রেহাই দেয়নি। যত যাই হোক ফয়সালা রাজপথেই হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। বিএনপি সহিংস রাজনীতি চায় না। হেনস্তা ও আটক করে বিএনপির নেতাদের কাছে খাবার ও ফুল পাঠানো সরকারের নাটক।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের প্রটেকশনে আগুন সন্ত্রাস করছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা‌। পুলিশ বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ এবং বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে। অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ৫০০ জন নেতাকর্মী আহত ও ১২৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে ব্যাপক সংঘাত হতে পারে। এর মূল কারণ, দেশের প্রধান বড় দুটি দলের বিপরীতমুখী অবস্থান। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দুই পক্ষকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করা উচিত। যদি তা না হয় তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরনের শঙ্কা কাজ করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2023 Somoyexpress.News
Theme Customized By BreakingNews