ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গাইবান্ধা -৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি ) আসনের মাঠ পর্যায়ে নৌকা প্রতীকের প্রচারনায় এবং জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফারজানা রাব্বি বুবলি – এমনটাই মনে করছেন সাধারণ জনগণ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনোয়ন পেলেই নির্ধিদ্বায় বিজয়ী হবেন বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারণা করে যাচ্ছেন বুবলি। গ্রাম থেকে গ্রামে এখন মানুষের আলোচনায় উঠে এসেছেন এই আওয়ামী লীগ নেত্রী কথা।
ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের পশ্চিম ছালুয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ফারজানা রাব্বি বুবলি আপা কে যদি দল থেকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে এই আসনে খুব সহজেই বিজয়ী হবেন। কারণ তিনি প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলের রাব্বি মিয়ার কন্যা ও মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের সহধর্মিনী এবংক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর রাজনীতিতে কোন ধরণের চাঁদাবাজি কিংবা অন্যায়ভাবে কারো সাথে বিরোধে জড়ানো-এমন অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে। তাই বর্তমান সমাজের জন্য তরুণ প্রজন্মের আইকন হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।
ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাদল বলেন,গাইবান্ধা -৫ আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূল রাজনীতিতে পরীক্ষিত নেতা তিনি। তার প্রয়াত বাবা দুই বারের সাবেক ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজরের রাব্বী মিয়া ছিলেন ফুলছড়ি-সাঘাটার ৭ বারের এমপি তার হাত ধরেই ফুলছড়ি ও সাঘাটার উপজেলার বেশিরভাগ উন্নয়ন হয়েছে। অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার জীবন দশায় ফারজানার রাব্বি বুবলিকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত ছিলো। বাবার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি বুবলির। বর্তমানে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি পরিচিত। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তাকেই মনোনীত করবেন বলে মনে করেন সাধারন ভোটার ও তার সমর্থকেরা।
উড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আঃ রাজ্জাক বলেন, উত্তর অঞ্চলের মধ্যে সব চেয়ে দরিদ্রতম জেলা আমাদের গাইবান্ধা আর সেই জেলার ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা আরো দরিদ্র এই এলাকার প্রায় সব রাস্তা ঘাট ব্রিজ কালভার্ট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এডভোকেট ফজলের রাব্বী মিয়ার করে গেছেন । বাবা রেখে যাওয়া উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে আমদের ফুলছড়ি উপজেলা উন্নয়নের জন্য আমাদের জায়গার পুত্রবধূ রাব্বি কন্যা বুবলি আপাকে খুব দরকার। তাছাড়া বুবলি আপা কে আমরা ছোট বেলা থেকেই খুব ভালো জানি।
ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বি বুবলি বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছি। আমার বাবা দুইবার ডেপুটি স্পিকার সাত বার এমপি ছিলেন আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না দলে নাম ভাঙিয়ে একটি টাকাও চাঁদা বাজী করেছি বা খেয়েছি। বরং দলের জন্য নিজে পরিশ্রমের টাকা খরচ করেছি। দল আমাকে কি দিলো সেটা ভাবি না, আমি দল কে কি দিবো সেটাই ভাবি সবসময় কথা। মানুষের বিপদে আপদে স্কুল জীবন থেকেই পাশে দাড়িয়েছি। দীর্ঘ এই রাজনৈতিক সময়ে কোথাও গিয়ে চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, অবৈধ কোনো কার্যকলাপে জড়িত হইনি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজনীতি করি। ফুলছড়ি উপজেলা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।আমি এখন মনে করি আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয় তাহলে খুব সহজভাবেই এই আসনে নৌকা জয় পাবে ইনশাআল্লাহ।
News Editor
Leave a Reply