নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জে সংখ্যালঘুর দোহাইয়ে হয়রানির স্বীকার একটি মুসলিম পরিবারের সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় বাকেরগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার পিতা মরহুম মাওলানা আবদুর রব খান ঝালকাঠী আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে দীর্ঘদিন চাকুরী করেন। ওইসময় ১৯৯৭ সালে তার পিতা বাকেরগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাহেবগঞ্জ গ্রামে জেএল ৪৪ নং বাকেরগঞ্জ মৌজায় ১০২ নং খতিয়ানের ১৩৬ নং দাগে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করে বসতঘর নির্মাণ ও গাছপালা লাগিয়ে ভোগদখল করেন। তাদের পার্শ্ববর্তী একই এলাকার মৃত জয়দেব সাহা জেএল ৪৬ নং ভরপাশা মৌজায় ৭৩ শতাংশ জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। জয়দেব সাহার স্ত্রী গীতা রানী সাহা ও পুত্র সুশান্ত সাহারা তার পিতার জমি জবরদখল করতে ২০১২ সালে ভুল তথ্য দিয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৯/২০১২। ওই মামলায় আদালত তাদের পক্ষেরায় প্রদান করেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুশান্ত সাহারা আদালতে আপীল করলেও ২০২২ সালে বিজ্ঞ বিচারক সেই মামলা খারিজ করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, গত ১০-১২ দিন আগে তিনি তার জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে সুশান্ত সাহা, তার মা গীতা রানী সাহা ও ভাইয়ের স্ত্রী নুপুর রানী বাঁধা দেয় এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পুলিশ কাজ বন্ধ করে দিয়ে উপজেলার সরকারি তহসিলদারকে কাগজপত্র দেখিয়ে জমি মেপে নির্মাণ কাজ করতে বললে তারা তহশীলদেরকে দিয়ে জমি মেপে মঙ্গলবার সকালে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ওই সময় মৃত জয়দেব সাহার স্ত্রী ও পুত্রবধূ নির্মাণ কাজে বাধা দেয়।
এ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে বসতঘর তুলতে গিয়ে জয়দেব সাহার পরিবারের হাতে তিনিসহ আরও ৫টি মুসলিম পরিবার (ফোরকান চৌধুরী, মরহুম লেহাজ উদ্দিন বিশ্বাস, হাফিজুল ইসলাম নান্না, ফারহাদ হোসেন মোল্লা ও বিক্রমচন্দ্র শীল) হয়রানীর স্বীকার হয়েছে। মৃত জয়দেব সাহার পুত্ররা তাদের পরিবারকে জড়িয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে তথ্য প্রচার করছে তা সঠিক নয়। বরং তিনিসহ কয়েকটি মুসলিম পরিবার জয়দেব সার পরিবারের হাতে হয় নারী স্বীকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি মাননীয় সংসদ সদস্য, পুলিশের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নাঈম সজল
সময় এক্সপ্রেস নিউজের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
Leave a Reply